শনিবার ( ১৪ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের মিশনপাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বুদ্ধিজীবী ও স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছে তারা হলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাজাকার ও আল-বদরদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রাজধানীর রায়ের বাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় তাদেরকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। জাতিকে মেধাশূন্য করতেই এই হত্যাকান্ড করা হয়েছিল। যাতে করে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কেউ দেশের নেতৃত্ব দিতে না পারে।
তিনি বলেন, আজকে স্বাধীনতা ৫৩ বছর পরেও মানুষ কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় বলে আমরা কিন্তু স্বাধীনতা স্বাদ পেলাম না। আজকে এর জন্য তাই হল কারা এই আওয়ামী লীগ সরকার। ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগের দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। তারা কি করেছিল তারা এদেশে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতা হওয়ার পরে থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত কি অবস্থা করেছে তা আপনারা সবাই জানেন। গত ৫ আগস্ট এর পরে এদেশ নতুন করে আবারও স্বাধীন হয়েছিল। এই ৫আগষ্টে জন্য কিন্তু অনেকে ছাত্র – জনতা রক্ত দিয়েছে স্বাধীন করেছে সুতরাং আমরা এটাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসাবে বিবেচিত করি।
এ সময়ে বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, এদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধিজীবী হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান যদি ১৬ বছর আগে বাংলাদেশে আস্তে তাহলে ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে ঠিক একইভাবে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক বুদ্ধিজীবী তারেক রহমানকে হত্যা করা হতো। কারণ তারা জানে তারেক রহমানকে হত্যা করতে পারলে বিএনপি স্থভীত হয়ে যাবে। তার জন্যই তারা তারেক রহমানকে বেছে নিয়েছিল। এখনো কিন্তু আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। এখনো কিন্তু অপশক্তিরা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সুতরাং এসকল অপশক্তি বিরোধী আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, শাহিন আহমেদ,বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক স্বপন, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, সরকার আলম, আবুল হোসেন রিপন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, মহিউদ্দিন শিশির, ইকবাল হোসেন, নাসির উল্লাহ টিপু, শাহাদুল্লাহ মুকুল, তাওলাদ মাহমুদ, আল আমিন প্রধান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
