মঙ্গলবার (২১শে জানুয়ারী) দুপুরে নগরীর মিশনপাড়ার প্রধান সড়কে নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভালো সময়ের মানুষের অনেক বন্ধু হয়। আগে বিভিন্ন সময় যারা আছে তারা যখন বিপদে পড়েছেন, তাদের সহানুবর্তীতা দয়ার জন্য তারেক রহমান ছাড়া কেউ ছিলো না। ২৪শের অভ্যুত্থান হয়েছে ৬ মাস হলো। কিন্ত সরকার বলতে পারেনি কতজন শহীদ ও আহত হয়েছে।
তিনি বলেন আমরা বলছি এই নিহতদের পঙ্গুদের সংখ্যা দেখাতে হবে ও এই পরিবারগুলো কে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। রাষ্ট্রের জন্য আজ যারা নিহত হলো তাদের পরিবারকে দেওয়া হলো ৫ লাখ টাকা। শহীদের জীবনের দাম যখন ৫ লাখ টাকা হয়, এই চেতনা থাকবে না। শুধু টাকা নয়, আন্দোলনে শহীদ ও আহত প্রতিটি পরিবারের একজনকে চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী।
রাজিব হাসান বলেন সরকার চাইলে ২ হাজার লোককে চাকরি দিতে ২ দিন লাগে। কিন্তু তাদের মাথায় তো এগুলো নাই। এখন তাদের মাথায় উইপোকা ঢুকেছে। এই পোকা চেতনাও খাবে, মাথাও খেয়ে ফেলবে। ওরা তো নতুন, আমরা পূরণ মাল। আপনারা সঠিক পথে না থাকলে আপনারা হারিয়ে যাবেন।
৫ তারিখের আগের ইতিহাস গত হয়ে গেছে। সংগ্রামে যে সুনাম অর্জন করেছেন সেটা কতটুকু ধরে রাখতে পারেন তাই দেখতে চাই। নারায়ণগঞ্জে অনেক কথা শোনা যায়। আমরা তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে চলবো। যদি বন্যার ময়লা পানিতে নেমে মানুষকে উদ্ধার করতে আসা বা গভীর রাতে আগুন লাগা ঘর থেকে মানুষ উদ্ধার করতে পারা মানসিকতা থাকে তাহলেই সেচ্ছাসেবকদল করতে আসবেন। আমরা যে কমিটি করে দিয়ে যাবো, আমাদের সেটার জবাবদিহিতা করতে হবে। যদি আপনারা নেতাকে না মানেন তাহলে দল কিভাবে আপনাকে মানবে। নারায়ণগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবক দল করতে হবে রানা বাবুর সাথে, অন্যকারো সাথে গেলে তো সেচ্ছাসেবক দল করা হবে না। কেউ অধ্যত্বপূর্ণ আচরণ করবেন না। এই নারায়ণগঞ্জের এক ভদ্রলোক ছিলো যে শুধু খেলা হবে, খেল হবে বলে। কিন্তু যখন খেলা শুরু হলো তখন সে নাই। আপনি আসেন মাঠে, এখন তো মাঠে কেউ নাই। এখন আসেন খেলতে। ঠিক মত দাঁড়াতে পারে না কিন্তু খেলা হবে খেল হবে বলে। সামনে-পিছনে পুলিশ, র্যাব নিয়ে এগুলো বলা খুব সহজ। সেখানে রানা ভাই মিছিল করেছে ৬০ জন নিয়ে। কিন্তু এই ৬০ জনের মূল্য আমার কাছে অন্য জায়গার ৬ হাজার কর্মীর থেকে বেশি। বিএনপিতে অন্য দলের কারো যোগদান হবে না। কিন্তু সাধারন মানুষ ও তরুণ প্রজন্মের সাথে আমরা কাজ করতে চাই।
সম্মেলনে মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায় আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড,সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এ্যাড,আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এম জি মাসুম রাসেল, সহ-সভাপতি এ্যাড, সালমা সুলতানা সোমা, কেন্দ্রীয় সংসদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. মিজানুর রহমান যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম হোসেন, সদস্য সফিকুল ইসলাম দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফাতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, মহানগর সেচ্ছসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন মীর্জা জনি, মোঃ দুলাল হোসেন, মোঃ আব্দুর রশিদ, নারায়ণগঞ্জের ৪টি থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক সহ প্রমূখ।