র্যাব-১১ ও র্যাব-৩ এর একটি যৌথ দল শুক্রবার (২৪ মে, ২০২৫) বিকেলে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন গুলশান লেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আলোচিত এ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে। পাবনার ঈশ্বরদী থেকে রানা হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী ১৫টি গরু নিয়ে একটি মিনি ট্রাকে করে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। ট্রাকটি বন্দর থানার কামতাল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনে পৌঁছালে রাত আনুমানিক ৩টা ৪০ মিনিটে একটি সিলভার রঙের মাইক্রোবাস তাদের গতিরোধ করে।
মাইক্রোবাস থেকে ডিবি পুলিশের কটি পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি নেমে এসে ট্রাকের কাগজপত্র দেখতে চায় এবং গরুর পেটে হেরোইন আছে বলে অভিযোগ তোলে। এরপর তারা গরুর মালিক রানা হোসেন ও ট্রাকচালক মো. ইরফানকে মারধর করে, চোখ-মুখ ও হাত গামছা দিয়ে বেঁধে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এসময় ডাকাত দলের একজন সদস্য গরুসহ ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে থাকা ডাকাতরা রানা ও ইরফানের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। কিছুদূর যাওয়ার পর রাস্তার পাশের ঝোপে ফেলে রেখে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়েরের পর র্যাব-১১ এর সদর কোম্পানি, নারায়ণগঞ্জ এবং র্যাব-৩ এর সিপিসি-১, শাহজাহানপুর ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্য বাবলুর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাবের যৌথ চৌকস দলটি শুক্রবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে চারটায় গুলশান লেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেফতারকৃত বাবলু ওরফে বাবুল (৩৮) ঢাকার বাড্ডা থানার বেরাইদ, চিনাদী এলাকার (কসাই বাবলুর বাড়ি) আনোয়ার আলীর ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবলু ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।