বুধবার (২৮শে আগস্ট) সকাল ১১টায় নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, একটি কুচক্রী মহল গভীরভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি মামলায় চেয়ারম্যান সেন্টুকে জড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে জনগনের কল্যাণে কাজ করেছেন। কুতুবপুর ইউনিয়ন একসময় খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণসহ নানা অপরাধের অভয়ারান্য ছিলো। চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে মনিরুল আলম সেন্টু দায়িত্ব নেয়ার মধ্য দিয়ে তার সাহসী নেতৃত্বেই শান্ত হয়েছে কুতুবপুর এবং ধ্বংস হয়েছে ত্রাসের রাজত্ব।
তিনি শান্তি প্রিয় বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সাধারণ মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসার ঠিকানা। তাই সাধারণ মানুষ মনে করেন, চেয়ারম্যান সেন্টুর নেতৃত্বেই কুতুবপুর সবচেয়ে নিরাপদ। এমন একজন জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে আমাদের কাছ থকে তথা কুতুবপুরবাসীর কাছ থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে এ সমস্ত মামলায় তাকে জরানো হয়েছে।
তারা আরও বলেন, আমরা দেখেছি বিগত আওয়ামী শাসনামলে গায়েবী হামলা-মামলা হয়েছে, ব্যাপক বৈষম্য হয়েছে। সেই সকল হামলা-মামলা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা জয়ী হয়েছি। কিন্তু এখনো যদি আবার সেই গায়েবী মামলা দেয়া হয়, তাহলে ছাত্র-জনতা তথা আমাদের সেই আন্দোলনের কি মূল্য রইলো? যারা এই গায়েবী মামলা দিয়ে সেন্টু চেয়ারম্যানসহ নিরপরাধী ব্যক্তিদেরকে হয়রানী করতে চায়, তারা মূলত এই অন্তর্বর্তীকালীণ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়।মনিরুল আলম সেন্টু ২০০২ সাল থেকে এখন পযন্ত কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছে।
২০২১ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে তৎকালীন এমপি শামীম ওসমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে জোরপূর্বকভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগে যোগদান করেননি তবে সেন্টুর পক্ষে নৌকার মনোনয়ন আনার বিষয়টি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করেছেন শামীম ওসমান। সেন্টু চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সদস্য পদ না নিয়েও নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নৌকার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করার পর থেকে একটি কুচক্রী মহল তার পেছনে উঠে পড়ে লেগেছে।
মানব-বন্ধনে ফতুল্লার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী সহ সাধারণ মানুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে ।
মানববন্ধন কর্মসূচী পালন শেষে মামলা থেকে সেন্টু চেয়ারম্যানের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা।