বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ওয়ালটন কম্পিউটার এক্সচেঞ্জ অফার (সিজন ৪) এর র‍্যালী নিতাইগঞ্জে অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা জাকির খানের মুক্তির দাবিতে নগরীতে মিছিল ও সমাবেশ এখানে বেশ কিছু অনিয়ম আছে এগুলো দূর করার চেষ্টা  করছি –উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন   পলিথিন শপিংব্যাগ বাজারজাতকরন রোধে পরিবেশ অধিপ্তরের অভিযান  এনসিসি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান  সোনারগাঁয়ে বারান্দার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ ডাকাতি বিএনপি করেও ৫ আগস্টের হত্যা মামলার আসামী আল-আমিন! সাংবাদিক রনির উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে এসপি-ডিসিকে স্মারকলিপি শ্রমিক অভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ এক শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত দেওবন্দের রাজনীতি ঈমানের ধারা হিসেবে আমি ধারন করি — মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী 

বাংলাদেশের পরম বন্ধু কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০
  • ৪৪৭ 🪪

তিনি ছিলেন বাংলাদেশের পরম বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সময় তিনি ভারতে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের নিয়ে কবিতা ও গান লিখেছেন। শুধু তাই নয়, শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন। যদিও তার দেশের সরকার আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের ঘোর বিরোধী ছিল। তারা শত্রপক্ষ পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন করে আসছিলো। আর এই দেশের মানুষ হয়ে সরকারের বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশকে মনেপ্রাণে সমর্থন জুগিয়ে গেছেন এই কবি।

এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি হলেন মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ। আজ এই মহান মানুষটির জন্মদিন। তিনি ১৯২৬ সালের ৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে কবি, লেখক, গীতিকার এবং মানবাধিকার ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তবে তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিরাট সমর্থক ও সহায়তাকারী।

গিন্সবার্গ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতীয় সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী শরণার্থী শিবিরগুলোতে ঘুরে বেরিয়েছিলেন। এসময় যশোরের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ওপর বিখ্যাত ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতাটি লেখেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে বন্ধু বব ডিলান ও অন্যদের সহায়তায় এই কবিতাটিকে তিনি গানে রূপ দিয়েছিলেন। কনসার্টে এই গান গেয়ে গেয়ে এই দুই কবি বাংলাদেশি শরণার্থীদের সহায়তার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন।

তিনি ১৯৫০-এর দশকের বিট প্রজন্ম এবং বিপরীত সংস্কৃতি আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। তিনি সামরিকতন্ত্র, অর্থনৈতিক বস্তুবাদ এবং যৌন নিপীড়নের ঘোর বিরোধী ছিলেন।

প্রথম জীবনে গিন্সবার্গ তার ‘হাউল’(১৯৫৬) মহাকাব্যের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান, যেখানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদের ধ্বংসাত্মক শক্তিকে নিন্দা করেন। এই কবিতাটি লিখেছিলেন তার বিট প্রজন্মের বন্ধুদের বরণ করে নিয়ে এবং বস্তুবাদের ধ্বংসাত্মক শক্তিকে আক্রমণ করে।

তিনি ছিলেন সমকামী ধারণার একজন বড় সমর্থক। এজন্য নিজের জীবদ্দশায় তাকে অনেক সমালোচনা ও নিন্দা সহ্য করতে হয়েছে। তারপরও তিনি সমকামীদের প্রতি সমর্থন জুগিয়ে গেছেন। সমকামীদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় সারাজীবন আন্দোলন করেছেন। তিনি সমকামীতার সপক্ষে অনেক কবিতাও লিখেছেন। সমকামী বিয়েতে উৎসাহ জোগাতে তিনি তার বন্ধু কবি পিটার অরলোভস্কিকে বিয়ে করেন। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সমকামী লেখক ও কবিরা সমকামিতা নিয়ে প্রাকাশ্যে কথা বলার সাহস পেয়েছে। আর তাদের অগ্রপথিক ছিলেন গিন্সবার্গ।

অ্যালেন গিন্সবার্গ ভারতবর্ষে থাকাকালীন সর্বাধিক সময় কাটিয়েছিলেন কলকাতায়। ১৯৬২-১৯৬৩ সালে তিনি পশ্চিমবাংলার কবিদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। তার সঙ্গে হাংরি আন্দোলনের কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও মলয় রায়চৌধুরীর হৃদ্যতা গড়ে ওঠে এবং তিনি আমেরিকায় ফিরে গিয়ে হাংরি আন্দোলনের কবিদের রচনা সেখানকার প্রখ্যাত পত্রিকাগুলিতে প্রকাশের ব্যবস্থা করেছিলেন। অ্যালেন গিন্সবার্গের বিখ্যাত কবিতা ‘হাউল’ এবং ‘ক্যাডিশ’ বাংলায় অনুবাদ করেছেন মলয় রায় চৌধুরী।

এই মানবতাবাদী কবি ১৯৭৫ সালের ৫ এপ্রিল মারা যান।

এমএ/

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved Daily Narayanganj
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102