বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। তবে এদিন মামলার আসামী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে আদালতে আনা হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির জানান, আজ আদালতে সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জাকির খানের বিরুদ্ধে তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্যপ্রদান করেছেন। তারা হলো মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। এ মামলায় মোট ১২জন তদন্তকারি কর্মকর্তা ছিলো। তার মধ্যে মূল তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট চার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত ২১ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামীকাল মেডিকেল কর্মকর্তা আসবেন। হয়তো, তিনি আদালতকে সাব্বির আলম খন্দকারের পোস্টমার্টেমের রিপোর্ট দিবেন।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল এ মামলায় ৩৪২ আর্গুমেন্ট হবে এবং ২৬ তারিখে এ মামলার ফাইনাল আর্গুমেন্ট হবে। এরপরই রায় ঘোষণা করা হবে। ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও তার স্বজনরা ছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ সাক্ষী পর্যন্ত কেউ জাকির খানের সম্পৃক্ততার কথা বলেনি। তাই আমাদের বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বিচার সঠিক হলে ইনশাআল্লাহ্ এ মাসেই জাকির খান খালাস পাবেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজির মন্ডল বলেন, আজ সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় তিনজন তদন্ত কর্মকর্তা যথাক্রমে শাহাজালাল মুন্সী, শরীফ সামসুল হক ও মো: মনির উদ্দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মামলায় ৫২ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২১ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। পর্যাপ্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড হয়েছে মনে করায় বিচারক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন। আগামীকাল ২১ নভেম্বর আসামীদের পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় এ পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে বরাবরের মত এদিনও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে আদালত পাড়ায় শত শত নেতাকর্মীরা ভীড় জমায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লিংকন খান, জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক সলিমুল্লা করিম সেলিম, যুব নেতা পারভেজ মল্লিক, জিয়াউর রহমান জিয়া, কানঞ্চ আহমেদ, সহ প্রমূখ।