শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রধানমন্ত্রী’র জন্মদিন উপলক্ষে না’গঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিলাদ ও দোয়া ওদের দৃষ্টি পরেছে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনসহ আমাদের দক্ষিনাঞ্চলের দিকে-খোকন সাহা শারদীয় দূর্গোউৎসব সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে পালন করার লক্ষ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভা বিএনপির সমাবেশে মাহামুদুর রহমান সুমনের বিশাল শোডাউন নগরীতে মাসব্যাপি আয়োজিত পর্যটন মেলায় রয়েল রিরিসোর্ট এর নানা আয়োজন এ্যাড,সাখাওয়াত ও এ্যাড, টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির বিশাল মিছিল নানা আ‌য়োজ‌নে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ব পর্যটন দিবস পা‌লিত শহরজুড়ে অবৈধ স্ট্যান্ড-যানজট দুর্ভোগে নাজেহাল জনজীবন  না’গঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ব্যাচ-২১ এর ২য় বর্ষপূর্তি পালন রূপগঞ্জের সেই হানজালা কারাগারে

অক্টোবর নাগাদ ওরা আমাদের মানচিত্রে আঘাত দিবে- শামীম ওসমান

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, সামনে থেকে

 

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, সামনে থেকে যদি ১০ হাজার লোক আসে, তাহলে আওয়ামী লীগের ১জনই যথেষ্ট। কারণ মিথ্যা কখনো সত্যের সাথে পারে না। অক্টোবর নাগাদ ওরা আমাদের মানচিত্রে আঘাত দিবে। ওরা ক্ষমতায় আসার জন্য না, দেশকে ধ্বংস করতে চায়। আমরা বাংলাদেশকে বাঁচাতে চাই। শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন।

বীর বাঙ্গালী ঐক্য গড় বাংলাদেশ রক্ষা করো’ স্লোগানে শনিবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।

শামীম ওসমান বলেন, যারা বাংলাদেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে চায়, তাদের বলতে চা, আমরা কারও পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াইনি। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে পার্টি অফিসে ঢুকে মনির ভাইকে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা বিচার পাইনি। নিজের এই হাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে পঞ্চাশটা লাশ দাফন করেছি। অনেককেই কবরস্থানে নিয়ে যেতে পারিনি। শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, সেই সময় দেশি-বিদেশিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। ওই বেইমান শকুনরা ষড়যন্ত্র করছে।

শামীম ওসমান আরও বলেন, বোমা হামলার পর আমি বুঝিনি যে, আমি বেঁচে আছি। আমাদের কী অপরাধ ছিল? খালেদা জিয়া বলেছিলেন, পার্লামেন্টে আমাকে দেখে নেবেন। আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশ, এই নারায়ণগঞ্জে আমাদের যারা ৭৫ এর পর বড় হয়েছি, আমাদের জীবন প্যালেস্টাইনের যুবদকদের মতো হয়ে গিয়েছিল।

আমরা তোলারাম কলেজের ছাত্র ছিলাম। উনিশ জন ছাত্র দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়েছি। তোলারাম কলেজে ঢুকতে পারেনি ওরা। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক ওরা ষড়যন্ত্র করছে। সাথে আছে কিছু মোশতাক। এই বাংলাদেশে এখনও ওরা কথা বলে। আমি লজ্জা পাই। সে কারণেই আমরা গোলাম আযমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। নেত্রী আমাকে ঢাকায় নিয়ে বললেন—তুমি নারায়ণগঞ্জ যাবে না। তোমাকে মেরে ফেলা হবে। আমরা ভেবেছিলাম, ওরা সামনে থেকে আসবে। কিন্তু ওরা পেছন দিয়ে এসেছে। আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা ফোটানো হলো। বিশজন লোক সাথে সাথে মারা গেল। আমি ভেবেছিলাম কবরের আজাব শুরু হয়েছে। আমাদের বন্ধু, সন্তানদের রক্ত এত গরম ছিল। হাসপাতালে আমাদের বারবার জিজ্ঞেস করছিল, তখনও নিজের কথা বলিনি, বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান।

শামীম ওসমান বলেন, মোশতাক বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমাদের বাসায় ফোন করেছিল। আমার মা সেদিন খুনি মোশতাককে বলেছিলেন, সে (শামীম ওসমানের বাবা) যদি আপনার মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়, প্রথমে চেষ্টা করব তাকে হত্যা করতে, নয়ত নিজে আত্মহত্যা করব। আমি সেটার সাক্ষী। মনসুর আলী যে রুমে ছিলেন, আমার বাবাও সেখানে ছিলেন। তাকে অজু পর্যন্ত করতে দেয়নি।

শামীম ওসমান আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি করার কথা ছিল না। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা জাপানের চেয়েও উন্নত দেশ থাকতাম। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সম্পদ ছিলেন না, শেখ হাসিনাও আজ শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ নন, আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ শেখ হাসিনা। আজকেও আমি বলতে চাই, আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দুই হাত উপরে তুলে কাঁদছিলেন। বলেছিলেন আমার বাবা-মাকে যেখানে মেরেছে, সেখানে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে চাই। তারা সেখানে নফল নামাজ পড়তে দেয়নি। যারা আমাদের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, তাদের সাথে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারব না। আমরা আমাদের বাংলাদেশকে বাঁচাতে চাই।

আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102