অভিযানে বেশ কয়েকটি পশু বিক্রির দোকানে পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল লাইসেন্সবিহীন পশু জবাই, জবাইয়ের পূর্বে ও পরে ভেটেরিনারি কর্মকর্তার দ্বারা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করানো এবং জবাই স্থানের অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ। এসব অপরাধে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১১ এর ২৪ ধারা অনুযায়ী চারটি পৃথক মামলায় মোট ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়। পাশাপাশি, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পশু জবাই করার জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে একটি মানবিক ঘটনাও ঘটে। পরিবহনের সময় প্রায় ছয় মণ ওজনের একটি গরু আহত হলে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে সেটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে, সদর উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জনের প্রত্যয়ন সাপেক্ষে গরুটি কোরবানি করে তার মাংস স্থানীয় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় সদর উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠায় তারা বদ্ধপরিকর। জনস্বার্থে এ ধরনের নজরদারি ও অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সচেতন থাকার, নিয়ম মেনে চলার এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।