মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে এই গণসমাবেশ শুরু হয়। শুরুতে বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
দুপুর ১২টার আগে থেকেই যখন ঢাকার আশপাশের এলাকার ন্যায় সোনারগাঁ থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজীবের নেতৃত্বে তারা হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা, ব্যানার এবং ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন।
এ গণসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হোন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, তীব্র রোদ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে উল্লাস করেন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের একটা বড় ধাপ, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন যেমন দরকার, তেমনিভাবে রাষ্ট্র সংস্কার, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, ভোটের অধিকার এই ৩টি জিনিস সংস্কার করে এই সরকার যাতে নির্বাচন দেয় এটি হচ্ছে আমাদের প্রথম ম্যাসেজ।
দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ গড়া এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকারের দুঃশাসনের অবসানের পরও তারা কিন্তু থেমে নেই। এখনো তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তারা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। তাই সরকার পতনের পর পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে নতুন কাউকে দলে জায়গা না দেওয়ার আহ্বান জানাই।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সমাবেশটি হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছিল বিএনপি। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই দিন পিছিয়ে সমাবেশের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর পুনর্নির্ধারণ করা হয়।