রবিবার (১৮ই আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় ডিআইটি এলাকায় কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদরাসা সংলগ্ন সড়কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দোয়া ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা।
সভাপতির বক্তব্যে আবুল কাউছার আশা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় যারা অস্ত্র চালিয়েছে তাদের আসামী করা হয়নি। আজকে একটি মামলা হয়েছে সেখানে মেহেদী ও সাজনু ভাই সহ হত্যাকারীদের নাম নাই কেনো। যারা মামলা নিয়ে লুকোচুরি করছেন, তাদের কিন্তু ফ্যাসিবাদি সরকারের মত মুক্তি পাবেন না। শেখ হাসিনা কিন্তু ছাত্র-জনতার হাত থেকে মুক্তি পায়নি তেমনি আপনারা পাবেন না। অটোস্ট্যান্ডে, বাস টার্মিনালে যখন চাঁদা থাকবেনা তখনই ভাড়া কমে যাবে। যারা হাট-বাজার দখল করে চাঁদাবাজী করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা বলছেন, প্রশাসন নাই প্রশাসন নাই। মনে রাখবেন, সবই আছে সব কিছুই দেখবেন। কারোই মনে হয় না কোমড়ে হাড্ডি থাকবে।স্মার্ট বাংলাদেশ গড়েছে তারা আজ আনস্মার্ট করছেন। আসল স্মার্ট হলো আমাদের ছাত্রেরা।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতা কাছে এই ফ্যাসিবাদি সরকার থাকতে পারেনি। তাদের ভয়ে মাত্র ৪৫ মিনিটে মধ্যে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেছেন। এখন যারা আছে, তাদেরকে ৪৫ সেকেন্ডের সময় দিবে ছাত্র-জনতা। কোটা বিরুদ্ধে আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে বিদায় দেয়া হয়েছে। অনেকে মনে করছে, দলীয় সরকার ক্ষমতা এসে পড়ছে- তারা হাট ঘাট দখল করছেন। কেউ কর্ণফুলি ডর্কইয়ার্ড দখলে চেষ্টা করেছেন, তাদের বুঝতে হবে। আল্লাহর ওয়াস্তে লজ্জা রাখেন, ছোট ভাইদের রক্তের সম্মান ধরে রাখেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা শহীদ ভাইদের রক্ত ব্যর্থ করতে দিবেন না। যারা আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, তাদেরকে প্রথমে বিচারে আওতায় আনা। পরবর্তিতে অন্যকিছু দিয়ে দাবি করা উচিত ছিলো।
গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বলেছেন, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান, শ্যালক তানভীর আহম্মেদ টিটু, শাহনিজাম নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও রাইফেল ক্লাব থেকে অস্ত্র নিয়ে গুলি চালিয়েছে। আমার জানি, গুলি চালিয়ে ক্ষমতা থাকা যায় না। এক টাকা কয়েন থেকে হাজারো টাকা নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেয়া হয়, আর কোন নেতা নেই? শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের ছবি এখন পাবলিক টয়লেট পর্যন্ত নামে হোক। ১৯৭১ সালের যারা রক্ত দিয়েছে, তাদের কোন অবদান নেই। এই বাংলাদেশ সব সকলের বাংলাদেশ কিন্তু শেখ হাসিনা কি করলেন। ছাত্র জনতা আন্দোলনে সরকারের নিদের্শে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করেছে। বাসা বাড়ি গিয়ে ছাত্রদের আটকে করে ৫০ থেকে ১লাখ টাকা ঘুষ নেয়। মনে রাখবেন, জনতা কিন্তু এখনো দেশের ক্ষমতা নেয়নি। জনতা যখন কথা বলা স্বাধীনতা পাবেন, সেদিন সকলের বাংলাদেশ হবে। জনগণের ভোটে যখন জনপ্রতিনিধি হবে তখন দেশ স্বাধীনতা দেখা যাবে। এখন বৈষম্যবিরোধী কমিটিগুলোতে স্বার্থবেষি লোকজন প্রবেশ করছে। ফারহানা বলেছেন, জেলা প্রশাসন এখনো যথাযথ দায়িত্ব পালন করে নাই। যারা শহিদ হয়ে তারা কি পেলেন। আমানতরা ও আবু সাঈদরা মনে গিয়ে কি পেলেন, তাদেরকে স্বাধীনতা বাংলাদেশ তুলে দিতে হবে। ক্ষমতা আশা লোভে লুটপাট করে যাচ্ছেন, তারা হাতি পাচঁ দেখে ফেলেছেন। ছাত্র-জনতা হত্যা মামলাগুলো দূর্বল করা হচ্ছে, যাদের প্রেসক্রিপশনে মামলা হচ্ছে তারা শামীম ওসমানগণদের কাছ আশ্রয় প্রশয়ে ছিলেন। তাদের নিরাপদে নারায়ণগঞ্জে দাপটে ছিলেন। কাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছিলেন, নারায়ণগঞ্জবাসী জানেন। এসময়
স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা মোঃ আলম এর সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মুনা, ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, সৌরভ সেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য আমিনুর রহমান মিঠু, সদর থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আওলাদ হোসেন প্রমুখ। বক্তব্য শেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও দেশবাসীর সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন, মাওলানা মাইনুল হাসান সহ প্রমূখ।