সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক মাস ধরেই কাশীপুরের সড়কগুলোর অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা ও কাদা। এর ফলে মিশুক, রিকশা, অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেলের মতো ছোট যানবাহনগুলোর চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চালকরা জানান, প্রতিদিন এই কাদাময় পথ পাড়ি দিয়ে যাত্রী পরিবহন করতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে, প্রায়শই যানবাহন কাদায় আটকে যাচ্ছে।
এই বেহাল দশার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, কর্দমাক্ত পথের কারণে ক্রেতারা দোকানে আসতে আগ্রহ হারাচ্ছেন, ফলে তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি হচ্ছে। মালামাল পরিবহনেও পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
রাস্তার গর্ত ও পিচ্ছিল অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। বিশেষ করে মিশুক ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, এবং এতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর তীব্র অভিযোগ, ফ্লাইওভার নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত চায়নিজ নির্মাতা কোম্পানির কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। তারা কেবল নিজেদের নির্মাণকাজ নিয়ে ব্যস্ত, স্থানীয় জনসাধারণের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের প্রতি তাদের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।
এই পরিস্থিতিতে এলাকার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরাও চরম বিপাকে পড়েছে। কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল পথে সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে অভিভাবকরা রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো একাধিকবার এই সমস্যা সমাধানে সরকারি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেও কোনো সুফল পায়নি বলে জানায়। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দ্রুত এই জনদুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান না হলে তারা প্রয়োজনে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন।
কাশীপুরবাসী এই অমানবিক পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ ও টেকসই প্রতিকার দাবি করেছেন। তারা চান, দ্রুততম সময়ে রাস্তাঘাট সংস্কার করে তাদের স্বাভাবিক ও নিরাপদ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা হোক।