সেই নেতাকর্মীরা এখন শেখ হাসিনাকে গালি দিচ্ছে যে শেখ হাসিনা তাদেরকে রেখে পালিয়ে গেছেন। এখন তাদেরকে চুরি ছিনতাই ডাকাতি করে খেতে হয়। আমরা আপনাদেরকে এমন নেতা নির্বাচিত করে দিব যে নেতা নেতাকর্মীদের সুখে দুখে পাশে থাকবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৮ নং ওয়ার্ড ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের পৃথকভাবে ২টি কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
শুক্রবার (২৮শে ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় ও বিকেল তিনটায় নগরীর মাঝিপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন মাঠ এবং কিল্লারপুলে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ বাদশাহ মিঞা ও সাইফুল ইসলাম আপনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন,৫ তারিখের আগে আমাদেরকে খুনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। তখন আমাদের রাজনীতি ছিল চোর পুলিশের মতন শেখ হাসিনার সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। সেই অপশক্তি যেন আর নতুন করে মাতা নেড়ে উঠতে না পারে তার জন্য আপনাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর ৫ তারিখের পর থেকে কিন্তু এ দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের মতো রাজনীতি আমাদের কাছ থেকে আশা করেনা।
আমাদের নেতা তারেক রহমান বিগত ১৭টি বছর আমাদেরকে সুদূর প্রবাস থেকেও আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন এখনো দিয়ে যাচ্ছেন। আর ৫ তারিখের পরে আমাদের নেতা সকল হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে মানবিক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা আমাদের ক্ষতি করেছে আমরা তাদের ক্ষতি করতে চাই না।
যারা অপকর্ম করেছে তাদের অপকর্মই তাদেরকে জেলে দিতে হবে এবং তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে। সুতরাং আপনারা কারো ক্ষতি করতে যাবেন না।
তিনি আরও বলেন, আগামী যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে কিন্তু আপনাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে হবে। আগামী নির্বাচন কিন্তু আগে নির্বাচনের মত রাতে সিল মেরে নিয়ে যাবেন তা হবে না।
আমাদের নেতা তারেক রহমান আগামীতে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনের জনগণের ভোটে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে চায়। সুতরাং আপনাদেরকে কিন্তু আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন। কারন আমাদের নেতা আমাদেরকে বলেছেন আমরা যেন মানুষের হৃদয় অবস্থান করি।
আমরা যেন মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকি। আমাদের কিন্তু সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করলে চলবে না। যুবদলের নেতাকর্মীরা কোন চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারবে না। কারণ এদেশের জনগণ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ভালোবাসেন। কারণ দীর্ঘ এই ১৭টি বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের জুলুম অত্যাচার নির্যাতনেও পাহাড় সমান শক্তি সাহস নিয়ে রাজপথে টিকে ছিল।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।