নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার পর তার মরদেহ সড়কে ফেলে পালানোর চেষ্টা করায় স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঘটনাটি শনিবার (১৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া গ্রামে ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম লামিয়া আক্তার (২০)।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন জানান, লামিয়ার স্বামী শাওন অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত ছিলেন। লামিয়া তাকে এ কাজে বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে শাওন লামিয়াকে মারধর করেন। পরে লামিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে লোকজনের ভিড় এড়াতে সড়কে লাশ ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন শাওন ও তার মা ফাতেমা বেগম। তবে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এদিকে, লামিয়ার শ্বশুর তারা মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। লামিয়ার বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।