নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ড্রামের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া অর্ধগলিত ও দ্বিখণ্ডিত লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ জানিয়েছে, পরকীয়ার জেরে মো. নয়ন (৪৯) নামে এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লার উত্তর শিয়াচর মাওয়া মার্কেটের পেছনের একটি নির্জন স্থান থেকে একটি বন্ধ ড্রামের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
দুপুর আনুমানিক ২টায় ফতুল্লা থানাধীন উত্তর শিয়ারচরে স্থানীয়রা অর্ধগলিত এবং দুই পা কাটা অবস্থায় লাশটি ড্রামের ভেতর দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ফতুল্লা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে এবং তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালায়।
অবশেষে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়। নিহত ব্যক্তি মো. নয়ন (৪৯), ফতুল্লার কুতুবপুর ৮ নং ওয়ার্ডের পিলকুনি এলাকার বাসিন্দা মো. সালাম ও আয়েশা বেগমের ছেলে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, নিহত নয়ন দুটি বিয়ে করেছিলেন। পুলিশ ধারণা করছে, নয়নের দ্বিতীয় স্ত্রীর পরকীয়ার কারণেই অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা নয়নকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ ড্রামের ভেতর ঢুকিয়ে গুম করার চেষ্টা করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) আনোয়ার হোসেন এই বিষয়ে বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা এটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করেছিলাম। লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”