সারা বাংলাদেশের ইট ভাটার উপর
পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় একই সময় ২০২৩ সালে ভাটাটি বন্ধ ছিল।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভাটার ম্যানেজার মেহেদী হাসান এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা এবছর অনুমোদন নিয়েছি, আমাদের বৈধতার সকাল কাগজপত্র রয়েছে তবে তিনি কোন কাগজপত্রই আমাদেরকে দেখননি বরং কাগজপত্র সব মালিকের কাছে আছে বলে জানান।
পরবর্তীতে এই ভাটার মালিক মাসুদুর রহমান মাসুদের সাথে কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অধিকতর খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালে এডভোকেট ফারুক ভূঁইয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ বন ও পরিবেশ আদালতে এই ইট ভাটার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় আদালত ইট ভাটার মালিক মাসুদুর রহমান মাসুদ স্বেচ্ছা দোষ স্বীকার করে আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চাহিলে ১৮ জুলাই ২০২৩ তারিখে সবকিছু আমলে নিয়ে বাংলাদেশ বন ও পরিবেশ আদালত গুরু শাস্তি না দিয়ে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায়ে করেন এবং অনাদায়ে চার মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।নিষিদ্ধ এলাকায় ইটভাটা চালানো অবৈধ হিসেবে রায় ঘোষণা করেন। কিন্তু চলতি মৌসুমে আদালতের রায় এবং প্রশাসনকে পরোয়া না করে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ ইটের ভাটা। স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহমান বলেন এলাকার মাঝখানে পাশাপাশি দুটি ইট ভাটা দীর্ঘদিন যাবত চলছে তবে গত বছর দুটি ইটভাটাই বন্ধ ছিল কিন্তু এবছর এবিএম ইট ভাটাটি কিভাবে চালু হলো আমাদের জানা নাই। প্রশাসনের লোকজন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে অথচ এই ব্যাপারটি কি তাদের চোখে পড়ে না, বলে প্রশ্ন রাখেন বাংলাবাজার পত্রিকাকে ।
আরেক স্থানীয় অধিবাসী মহাসিন বলেন, এই ভাটার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, জমিতে ফসল হচ্ছে না, মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, বাড়ির গাছ- পালাগুলোতে ফল ফলাদি হচ্ছে না , আমরা এলাকাবাসী এই ইট ভাটা বন্ধের দাবিতে কয়েকবার মানববন্ধন করেও প্রশাসনকে টনক নড়াতে পারিনি, তিনি আরো বলেন, হয়তো প্রশাসন আসে ম্যানেজ হয়ে চলে যায়। আক্ষেপের সুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজ কি? আমাদের বারবার গিয়ে জানাতে হবে, নাকি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া তাদের দায়িত্ব, সেটা জনগণ জানতে চায়। ইটভাটা বন্ধ না হওয়ার পিছনে নিশ্চয়ই প্রশাসন কোন না কোনভাবে জড়িত থাকতে পারে । আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেনকে কয়েকবার জানানো হলেও এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট লোকেশন দেন অথচ আড়াইহাজার থেকে নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাওয়া আসার এই রাস্তায় তার নিজেইর চোখে দেখে থাকার কথা। সঠিক লোকেশন দেওয়ার পরও দ্বিতীয়বার জানতে চাইলে তিনি বলেন, পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক জানান,স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।