সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লা থানাধীন শিবুমার্কেট নয়ামাটি মার্কাজ মসজিদে উলামা মাশায়েখ এবং তাবলীগী সাথী ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে আমলাপাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাদীর বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় সাদপন্থীদের ইজতেমায় অংশগ্রহন ও যাবতীয় দাবী-দাওয়া সহ সকল বিষয়ের সমাধানের লক্ষ্যে তাদের সাথে সরকারের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক ছিলো। এছাড়াও যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম সাদপন্থীদের সাথে ঘটনা ঘটার রাতেই বৈঠক করেন এবং মুরুব্বিদের সাথে পরামর্শ করে তাদের দাবী পূরণের আশ্বাস প্রদান করেন ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য তাদের বলা হয়। ঐ দিন রাত দুইটায় বৈঠক চলাকালীন সাদপন্থী সন্ত্রাসীরা আচমকা হামলা চালায় এবং বিষয়টি সমন্বয়করা নিজেরাই মিডিয়াকে জানান।
তিনি আরও বলেন, মূলত সাদপন্থীরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে বিশ্ব ইজতেমাসহ সকল দাওয়াতী কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ করা। এছাড়াও ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বরেও তাদের নারকীয় তান্ডবে অনেক সাথী শহীদ হয় এবং পাঁচ সহস্রাধিক সাথী আহত হয়েছিলো। তাই তাবলীগের নামে এ জাতীয় সন্ত্রাসী কার্যক্রম আমাদের শান্তিপ্রিয় মুসলিম দেশে কিছুতেই চলতে দেওয়া যাবে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা মার্কাজ মসজিদের পেশ ঈমাম মোঃ জোবায়ের রহমান বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। কিন্তু না এটা হবে সাদ পন্থিদের হামলা। আমরা হচ্ছি শুরা মেজবানের তত্বাবধানে মেহনতি তবলীগ এর অংশ আর তারা হচ্ছে সাদ এর অনুসারী।
রুপগঞ্জে একটি মার্কাজ মসজিদ নেশাগ্রস্ত, সন্ত্রাসী লোকদের দিয়ে দখল করে রেখেছে। বৃহস্পতিবার এর মধ্যে দখল না ছাড়লে আমরা সেখানে যাবো।
এসময় সারা বাংলাদেশে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ সহ ৬ দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মার্কাজ মাদ্রাসা নারায়ণগঞ্জ এর মোহতামিম মাওলানা মাহবুবুর রহমান, দারুল কোরআন মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা বদরুল আলম সিলেটী, এড. ওমর ফারুক নয়ন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, হেফাজত ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ