শনিবার (২৩ নভেম্বর) সোনারগাঁ উপজেলার চর রমজান ইসলামপুর (মোস্তফাগেট) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়- সোনারগাঁও উপজেলার চর রমজান ইসলামপুর (মোস্তফাগেট) এলাকায় বিগত ১০/১২/২০২১ ইং তারিখ ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পারভীন আক্তারের সহোদর বড় ভাই মোঃ জাকির হোসেন’র সহিত নিলা আক্তার (২২) পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিগত ৩০/০৮/২০২৩ ইং তারিখে পারভীন আক্তার’র বড় ভাই জাকির হোসেন অর্থাৎ নিলা আক্তার’র স্বামী দেশের বাহিরে মালয়েশিয়া চলে যান। অতঃপর জাকির হোসেন’র অনুপস্থিতিতে নিলা আক্তার তার পিতার বাড়িতে প্রতি মাসেই ২/৩ বার আসা যাওয়া করতো। সেই আসা যাওয়ার সুযোগে প্রেমিক লাবিব’র সহিত ফোনালাপের মাধ্যমে তারা পরকীয়ায় অবৈধ সম্পর্ক করে।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে পারভীন আক্তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ ২০/১১/২০২৪ ইং তারিখে জানতে পেরে তার বড় ভাই জাকির হোসেনকে মোবাইল ফোনে অবগত করেন এবং তার পরিবারের লোকজন নীলা আক্তারকে তার অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্ক হইতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়াও গৃহবধূ নিলা আক্তার’র বড় বোন সুমি ও দুলাভাই মোঃ রাব্বিকে পরকীয়ার বিষয়ে অবহিত করলে, তারা কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বরং উত্তেজিত হয়ে পারভীন ও তার পরিবারের অন্যান্য লোকজনের সাথে তারা আরও খারাপ আচরণ করেন।
পরে ২৩/১১/২৪ ইং তারিখে নিলা আক্তার পারভীন আক্তার’র পিতার বাড়ির আলমারিতে রক্ষিত নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও বিভিন্ন স্বর্ণালংকার যথাক্রমে ৩টি চেইন, যাহার ওজন ২ ভরি, ৩ জোরা কানের ঝাপটা যার ওজন ২ ভরি ৪ আনা, হাতের ব্রেসলেট ৪ আনা, রকেট ৩টি ও হাতের আংটি ১টা যার ওজন ৫ আনা, যার আনুমানিক মূল্য সাত লক্ষ টাকা এবং নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা সহ মোট বারো লক্ষ টাকা নিয়ে বড় বোন সুমি ও দুলাভাই মোঃ রাব্বি’র সহায়তায় লাবিবের সহিত পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পারভীন আক্তার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগন নিলা আক্তার’র বড় বোন সুমি ও দুলাভাই রাব্বি সহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করলে সুমি ও রাব্বি বলেন- নিলা আক্তার আমাদের সহযোগীতায় তোদের বাড়ি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে এসেছে। যদি পারিস তবে কিছু করিস। এ ঘটনা নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে পারভীন আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণ নাশ করবে বলে হুমকীও প্রদান করে। এবিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।