ঘটনার বিবরণে জানা যায়- ফকির শাহ্ জালাল একজন লালন ভক্ত ও লালন প্রেমী। তার নিজস্ব ভূমিতে প্রতি বছর ফকির লালন শাহ্ স্মরণে মহতী সাধু সংঙ্গ ও লালন ভাব সংঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। এ অনুষ্ঠানে লালন প্রেমী ও ভক্ত বৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের সমাগম ঘটে। দুই দিনের এ আয়োজনে চলে লালনের গান। প্রতি বছরের ন্যায় এ মাসের ২২ ও ২৩ নভেম্বর মেলা উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়।
এ বিষয়ে অবগতি করে নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদনও পান। কিন্তু লালনের এ মেলা উদযাপনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় এলাকার কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাহারা ১৫ নভেম্বর মধ্য নরসিংপুর ঈদগাহে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেন, এ-ই মেলা বন্ধের জন্য। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে ঈমান বিধ্বংসী লালন মেলা বন্ধ করতে হবে। এ-ই মর্মে হুশিয়ারী দেন মাওলানা আব্দুল আওয়াল।
লালন ভক্তদের দাবী দীর্ঘ বছর ধরে আইন মেনে সামাজিক রীতি-নিতী মেনে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এ মেলা করে থাকি। কিন্তু তৌহিদী জনতা তাদের যে বক্তব্য তুলে ধরেছেন, এ মেলায় অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকদ্রব্য ব্যবহারে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। আমরাও চাই ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবমূর্তি বজায় রেখে আমাদের উৎসব পালন করতে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।