বিএনপি নেতা রমজান আলী সরকার বলেছেন, আসলে এটা নিতান্তই মিথ্যা ও একটি গুজব। আমরা এই অনুষ্ঠানে বিল্লাল চেয়ারম্যানের হত্যার তদন্ত চেয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছি। এখানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। সোনারগাঁয়ে প্রভাবশালী কোন এক বিএনপি নেতার মেয়ের জামাই মাসুমের নির্দেশে এ সমাবেশে আসার কারনে বিএনপির কিছু নিরীহ কর্মীদের মারধর করা হয় ও বাড়িঘর তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর তীব্র প্রতিবাদ এবং প্রশাসন কে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানাচ্ছি। এ দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল মাঠে থাকায় কিছু বিএনপির চাঁদাবাজ হাইব্রিড নেতারা প্রতিহিংসায় তাদের মাথা নষ্ট ও পাগল হয়েছে প্রায়।
সোনারগাঁ উপজেলায় সকলেই অবগত আছেন, বিএনপি’র একটি মহলে একাধিক নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, কোম্পানি থেকে চাঁদা দাবির সাথে জড়িত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পত্রিকায় অনলাইনে নিউজ হয়েছে ও রমজান আলী বলেন আমরা মাঠে আছি? কারো কোন ক্ষতি করি নাই? সোনারগাঁয়ে সব জায়গায় খবর নিয়ে দেখতে পারেন।
সোনারগাঁ থেকে চাঁদাবাজি দূর করার জন্য আমরা সোনারগাঁয়ে রাজনীতি করি, মানুষের উপকারে করার জন্য, চাঁদাবাজি করার জন্য নয়,
আপনারা জানেন, গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিএনপি’র কিছু হাইব্রিড নেতা কর্মীরা চাঁদাবাজি ও দখলদার কাজে নিয়োজিত হয়েছে। তারা বিভিন্ন মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীর সহ সাধারণ মানুষের নামে- বেনামে রাজনৈতিক মামলা দিয়েছে। এই মামলা কে কেন্দ্র করে তারা অর্থ উপার্জনের ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে। তারা এই আসামিদেরকে পুঁজি করে অর্থের বিনিময়ে আসামিদের লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করছে তার অভিযোগ পাওয়া যায়। তারা এখনো আসামিদের সাথে যোগাযোগ করে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় পত্র পত্রিকায় লেখা-লেখি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে তাদেরকে অনুরোধ করেছি। তবে সোনারগাঁয়ের বিএনপির হাইব্রিড নেতা কর্মীরা যে ধরনের কার্যকলাপে জড়াচ্ছেন তা মোটেই কাম্য নয়। তাদেরকে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।