ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায়। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে- অত্র এলাকার মৃত সালাউদ্দিন এর ২ ছেলে মোঃ শামীম ও এড. জাহাঙ্গীর আলম ডালিম এবং একমাত্র মেয়ে পিয়াসা আক্তার। ২০১৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর অছিয়ত অনুযায়ী ৩ ভাই বোনের মাঝে পৈতৃক সম্পত্তির সুষ্ঠ বন্টন করা হয়। এর মধ্যে বোন পিয়াসা আক্তার’র ২ শতাংশ জায়গা বিক্রি করতে চাইলে মেজো ভাই এড. ডালিম তা মায়ের পরামর্শে নিজেই ৩০ লাখ টাকা মূল ধরে ১০ লাখ টাকায় বায়না করেন ২০২০ সালের ২২ জুন। রেজিস্ট্রিকৃত বায়না অনুযায়ী জমির মালিক হিসেবে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা খরচ করে ৫ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ৪ তলা পর্যন্ত নির্মান করেন তিনি। এর মধ্যে জমির মূল্য অনুযায়ী সর্বমোট ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন এড. ডালিম। বাকি থাকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
এদিকে বিল্ডিং নির্মাণাধীন অবস্থায় জমির মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় বড় ভাই মোঃ শামীম’র কুপরামর্শে পিয়াসা ও তার স্বামী মোঃ বাবুল মিয়া উক্ত জমির জন্য ৫০ লাখ টাকা দাবী করে বিভিন্ন সময় তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে এড. ডালিম অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে পিয়াসা বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে চেক ও বায়না বাতিল সহ ২টি মামলা করেন। তবে এড. ডালিম চেকের টাকা পরিশোধ করায় সেই মামলা থেকে খালাস হন এবং উক্ত বায়না বাতিল মামলা থেকেও সে খালাস হবে বুঝতে পেরে নানাভাবে তাকে হুমকি ধামকির এক পর্যায়ে পিয়াসা ফতুল্লা থানা পুলিশের শরণাপন্ন হন এবং থানার ওসি মোঃ শরীফুল ইসলাম’র নাম ভাঙিয়ে গত ২৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্বামী ও বড় ভাই সহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী বন্দরের মানিক ও আরও ৭/৮ জন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে এড. ডালিমের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে চাপাতি, লোহার রড, ধারালো ছুরি, ইট সহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। অভিযুক্ত পিয়াসা এসময় বড় ভাই এড. ডালিমকে টেনে হেচরে বাড়ি থেকে বের করে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ও উপস্থিত সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মারধর করে। যে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যায়। এসময় আহত ডালিমের আর্তচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসী মানিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা নগদ ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে এবং পিয়াসা জমির মূল্য হিসেবে অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা না পেলে ডালিমকে হত্যার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ফতুল্লা থানার ওসি মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন- আমরা এড. জাহাঙ্গীর আলম ডালিমের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এসময় তিনি এড. ডালিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর অভিযুক্তদের হামলার বিষয়টি স্বীকার করেন।