তিনি আরও বলেন আমাদের কন্ঠকে কেউ বন্ধ করে রাখতে পারবে না। ২৮শে অক্টোবর আওয়ামী লীগের তান্ডব পুরো জাতি দেখেছে। এবং সেই ঘটনায় আদালতে মামলাও হয়েছিল। কিন্তু তারা বিশেষ ক্ষমতাবলে এ মামলাগুলোকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
শুক্রবার (২৫শে অক্টোবর) বিকেল ৪টায় নগরীর চাষাড়া শহীদ মিনার চত্তরে নারায়ণগঞ্জ পূর্ব সদর থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ২৮শে অক্টোবর ২০০৬ সালে লগী বৈঠাধারী আওয়ামী সন্ত্রসীদের তান্ডব ও নির্বিচারে মানুষ হত্যার বিচারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজ নতুন করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। আমি বলতে চাই অবিলম্বে সেই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে, নয়ত জনগণ আইন হাতে তুলে নেবে। ২৮শে অক্টোবরের ঘটনা, সাধারণ কোন ঘটনা নয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্র কে ব্যর্থ করতে এই ষড়যন্ত্র হয়েছে। ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার যেমন হবে, তেমনি ২৮শে অক্টোবরের বিচারও হবে। খেলা হবে খেলা হবে বলে এই নারায়ণগঞ্জকে আর কলঙ্কিত হতে দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের অনেকে অন্যান্য দলের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসতে চেষ্টা করছে। আমি বলতে চাই কোন খুনী রাজনীতিবিদ হতে পারে না। নতুন করে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি যারা করবে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। নয়ত জনগণ তাদের হাত ভেঙে দেবে। দেশপ্রেমিক সকল দলের প্রতি আহ্বান। দলের চেয়ে বড় আমাদের আদর্শ আমরা বাংলাদেশী। জামায়াতকে দেশপ্রেমিক হওয়ার অপরাধে এই দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল।
এসময় প্রতিবাদ সমাবেশে সদর থানা জামাতের আমির ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামাতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন, মাওলানা নাসির উদ্দীন, মাওলানা সাইফুদ্দিন মনির,পশ্চিম থানা আমির সাঈদ তালুকদার, সদরের মাওঃ হাবিবুর রহমান, দক্ষিণের আমির ডাঃ নুরুল ইসলাম, উত্তরের আমির আবুল কালাম আজাদ সহ প্রমূখ। সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কুরআন অর্থ সহ তেলোওয়াত করেন হাফেজ ক্বারী আশ্রাফ হোসেন।