এসময় বিক্ষোভ ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন খান, জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহবায়ক সলিমুল্লাহ সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ আহমেদ, মোঃ আমিনুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান,যুগ্ন আহবায়ক কাঞ্চন আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলার সুলতান মাহমুদ খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচ এম হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সি মোঃ শাহজালাল, জেলা গার্মেন্ট শ্রমিক দলের সভাপতি কাউসার আহমেদ, সদর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি এজাজ আহমেদ, কাশিপুর ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ মানিক, মাসুম, শেখ সালেহ আহাম্মদ, মোঃ সুমন , মোঃ রনি, মশিউর সহ প্রমুখ।
এদিকে দুপুরে আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। তবে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উম্মে সরাবন তহুরা অনুপস্থিত থাকায় আদালতে সাগর নামে একজন সাক্ষী শুধু হাজিরা দেন। এসময় অসুস্থ্যতার কারণে জাকির খান আদালতে উপস্থিত হতে পারেন নি।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোঃরবিউল হোসেন বলেন, একজন সাক্ষী হাজিরা দিয়েছেন। আদালতের বিচারক ছুটিতে থাকায় চার্জ কোর্ট সাক্ষ্য নেননি। আজকে ১৭ নম্বর সাক্ষী এসেছিল।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, আজকে ১৭ নম্বর সাক্ষীকে ওয়ারেন্ট দিয়ে আনা হয়েছে। তিনিও এই মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না। উনি উল্টো বাদীর সাথে রাগান্নিত হয়েছেন- এই বলে যে, কেন তাকে এখানে আনা হয়েছে। কেন তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত তাকে না জানিয়ে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে। ফলে আমরা আশা করতে পারি, জাকির খানের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। তিনি অচিরেই মুক্তি পাবেন।
জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেন, যারা বিএনপি দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাদের জন্য যখন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির কাঁদে তখন আমাদের দু:খ হয়। আজকে ষড়যন্ত্র করে জাকির খানকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। আর যিনি মামলাটি পরিচালনা করছেন তিনি বিএনপির কিছু না। আর যিনি মারা গেছেন তিনি জাতীয় পার্টির নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সহ সভাপতি ছিলেন। শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানদের সাথে তাদের ওঠাবসা ছিল। ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা জাকির খানের মুক্তি চেয়ে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কেউ তার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ জানান না। জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সলিমুল্লা করিম সেলিম বলেন এ্যাড,তৈমুর আলম খন্দকারের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল সাব্বির আলম খন্দকারের তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটিত হবে বলে তিনি মনে করেন। আমার জাকির খান তৈমুর আলম খন্দকার কে বিএনপিতে যোগদান করানো তার ভূল সিদ্ধান্ত ছিলো।