রবিবার (১৩ই অক্টোবর) রাতে দুর্গাপূজার বিজয় দশমী উপলক্ষে এক বিশর্জন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সদরের ৬৬টি সহ সমগ্র নারায়ণগঞ্জে মোট ২১৪ টি পূজা মন্ডপের প্রতিটিতে ২০ থেকে ৩০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক কর্মী দিয়েছি। পূজার আগে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে মহানগর বিএনপির সভা করেছিল। পূজায় কোন অপশক্তি আঘাত করতে পারবে না বলে ঘোষনা দিয়েছিলাম। আঘাত করতে হলে আমাদের নেতা কর্মীদের বুকের উপর আঘাত করে তারপর পূজায় বিঘ্ন ঘটাতে হবে। এছাড়া পূজায় বিঘ্ন ঘটাতে পারবে না। শুধু হিন্দু মুসলিম নয় বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসবগুলো আমরা একসাথে পালন করতে চাই।
টিপু বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিএনপি ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক আমরা সব সময় চেয়েছি দুর্গো উৎসব সহ বিভিন্ন উৎসবে হিন্দু ভাইদের পাশে থাকতে। আমরা চাই যেভাবে মুসলিমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ও ঈদ পালন করতে পারি ঠিক সেইভাবে নির্বিঘ্নে হিন্দু ভাইদের তাদের সকল পূজা যেন পালন করতে পারে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। কেউ যদি দুর্গোৎসাবে বিশৃঙ্খলা করতে চায় তাহলে আমাদের বুকের ওপর পাড়া দিয়েই বিশৃঙ্খলা করতে হবে। কিন্তু হিন্দু ভাই ও বোনদের উপলব্ধি করতে হবে যে স্বাধীনতার পর কোন সরকার বা রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় হিন্দুরা শান্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেনি, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করা হয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার ১৫ দফায় উল্লেখ করেছিলেন, এ দেশের যার যার ধর্ম সে সে নির্বিঘ্নে পালন করবে। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে। তারই আদর্শে আমরা এই দুর্গোৎসবে প্রতিটি মন্দির পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছি। শুধু আমরা নয় এ ক্ষেত্রে জামাত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও ছিল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বি, জেলার পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তরিকুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন, মহানগর ইসলামী আন্দোলন এ-র সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শংকর কুমার দে,সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন, মহানগরের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, উপদেষ্টা পরিতোষ কান্তি সাহা, বাসুদেব চক্রবর্তি, নাসিকের সাবেক কাউন্সিলার অসিত বরণ বিশ্বাষ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ,মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন সহ প্রমূখ