আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জানান, জাকির খান অসুস্থ থাকায় তাকে আজও আদালতে আনা হয়নি। তবে আদালতে তার বিরুদ্ধে দু’জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছে। এরা হলেন আমিনুল ইসলাম ভুইয়া, ও ঠিকাদার গোলাম সারওয়ার বাদল তারা আদালতকে জানিয়েছেন, এ হত্যার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। তারা পুলিশকেও কোন জবানবন্দি দেননি বলে জানান।এসময় বাদি পক্ষের আইনজীবী তাদেরকে প্রশ্ন করেন, আপনারা কি ভয়ে এমন কথা বলছেন? সাক্ষীরা তখন বলে, ভয় পাবো কেন। সবারইতো মরতে হবে। আমরা যা সত্য তাই বলেছি।
এছাড়াও তিনি জানান, আজ আমরা আদালতের কাছে জাকির খানের জামিন চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত জামিন মঞ্জুর করেনি এবং আগামী ২০শে অক্টোবর এ মামলার পরবর্তি কার্যদিবস ঘোষণা করেন। তবে আমরা আশা করছি, খুব শীঘ্রই জাকির খানের জামিন হবে এবং এ মিথ্যা মামলা থেকে তিনি মুক্তি পাবেন।
আজও জাকির খানের মুক্তির দাবিতে আদালতপাড়ার সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড (চানমারি) থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে, পরে মিছিলটি নারায়ণগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
এসময় জাকির খান মুক্তি পরিষদরে আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ করিম সেলিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচএম হোসেন, জাকির খান মুক্তি পরিষদ নেতা আমিনুল ইসলাম,জাহাঙ্গীর আলম রতন,নুর আলম হানিফ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সভাপতি কাউসার হোসাইন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শ্রী ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সালেহ আহমেদ রনি, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সী মোঃ শাহজালাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আল আমিন হৃদয়, সহ সভাপতি আজিজুল হক, দপ্তর সম্পাদক আদনান মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ, মীর রাজিব, সদর থানা গার্মেন্টস শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: খোকন, মো: সুমন, সহ প্রমূখ ।