ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্ব জগতের একমাত্র হলেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্। কিন্তু গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে রব্ব- সার্বভৌমত্বের মালিক গ্রহণ করা হয়, যা মূলতঃ মহান রব্বের সাথে কুদর এবং শিত। কুফর এবং শিরকের পরিণতি মানুষের দুনিয়ার জীবনে অকল্যাণ, অশান্তি এবং তাদের আখিরাতের জীবনে চিরস্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত জাহান্নাম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন কর্তৃত্ব এবং কুরআন বিরোধী মান্য রচিত সংবিধানের এবং এরই ধারক-বাহক নেতার আনুগত্য প্রতিষ্ঠিত আছে, যার কারণে মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার নাই, তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্য আর বৈষম্য। তাদের ন্যায্য অধিকার আদার ও সংরক্ষণ হচ্ছে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি এবং দুর্নীতির কারণে সন্ত্রাস, উগ্রতা জঙ্গিতৎপরতাসহ বিভিন্ন ইস্যু কেন্দ্রিক মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা মানুষের জীবনকে গ্রাস করেছে। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতাসহ সকল মানবতা বিরোধী অপরাধ ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে পণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ভেঙে দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত জীবন
ব্যবস্থা ইসলাম তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খিলাফত রাষ্ট্র বাংলাদেশ গঠন করতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই ।
শনিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর ) বিকাল ৩ টায় নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনার চত্ত্বরে ‘ইসলামী সমাজ এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল মোঃ সেলিম মোল্লা ও আজমুল হকের যৌথ সঞ্চালনায় “দুর্নীতি ও বৈষম মুক্ত কল্যাণকর সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠনের উপায়” বিষয়ে অনুষ্ঠিত মানবাধিকার সমাবেশে ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন, গণআন্দোলন কিংবা সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদি কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের জন্য কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক- আল্লাহর নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়। এসব পদ্ধতির যে কোন পদ্ধতি গ্রহণ করলে আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরক করা হয়, যার পরিণতি দুনিয়ার জীবনে অকল্যান, আশান্তি এবং আমিতের জীবনে মহাক্ষতি। তিনি বলেন, দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ ও শান্তি এবং আখিরাতের জীবনে মহাক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়ে চূড়ান্ত সফলতা লাভ করতে হলে মাত্র রচিত ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলাম গ্রহণ করে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার ঈমানী দায়িত্ব পালন করতেই হবে। তিনি বলেন, সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতিতে’ই ‘ইসলামী সমাজ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকলকে তিনি গণতন্ত্রসহ ইসলাম বিরোধী সকল ব্যবস্থা ত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল সর্বজনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন, মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী মোক্কা, সোলায়মান কবীর, মোঃ নুরুদ্দিন, মোঃ আলী জিন্নাহ, মো: সোহেল, আৰু জাফর মোঃ সালেহ, নাজমুল হাসান এবং জেলা দায়িত্বশীল মো:মাসুম, হাবিবুর রহমান ও ইসলামী সমাজের অন্যতম সদস্য ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি