পরিবেশবাদী সংগঠন, কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের এই জোট একটি প্রচারাভিযান করেছে, যার লক্ষ ছিলো জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (JBIC) এর জীবাশ্ম জ্বালানী প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধ করার আহ্বান জানানো। জীবাশ্ম জ্বালানীতে JBIC-এর অব্যাহত বিনিয়োগ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং টেকসই জ্বালানী রূপান্তরের বৈশ্বিক প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে ৷
এই প্রচারাভিযান জোটের মতে, JBIC-এর প্রকল্পগুলির ফলে বিদ্যুতের মূল্য আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। যা বাংলাদেশ সহ উন্নয়নশীল দেশগুলির জীবনযাত্রার মানকে আরও নামিয়ে দেবে কারণ JBIC মেঘনাঘাটে ৭১৮ মেগা ওয়াট প্রাকৃতিক গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৬৪২ মিলিয়ন ইউএস ডলারে সহ-অর্থায়নে যোগদান করেছে।
প্রচারাভিযান অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে যেয়ে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন দাবি করেছেন যে, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বিষয়ে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য ক্রমবর্ধমান হওয়া সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানিতে জেবিক ক্রমাগত আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তেল ও গ্যাস অবকাঠামো পর্যন্ত, জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে জেবিক-এর বিনিয়োগ বিশ্বজুড়ে পরিবেশের অবনতি, বায়ু দূষণ এবং সামাজিক অবিচারের ক্ষেত্রে সরাসরি অবদান রাখছে। জাপানের সর্ববৃহৎ সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে, জেবিক বৈশ্বিক বিনিয়োগের প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
হাসান মেহেদী, চিফ এক্সিকিউটিভ, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন), বাংলাদেশ: “জাপানের এনার্জি ফাইন্যান্স অপ্রয়োজনীয় জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবস্থার প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ঋণের ফাঁদে নিয়ে যাচ্ছে। এলএনজি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম নিজস্ব জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের চেয়ে দশগুণ বেশি, যা বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর জন্য অসাধ্য। এছাড়াও, জেবিকের লক্ষ্য এলএনজিতে অর্থ বিনিয়োগ করা। এর ফলে বাংলাদেশে জেবিকের অপরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ পাচ্ছে।”