আজকে আমাদের দেশে সবার গায়েই যেন পরিবর্তনের হাওয়া লাগছে। বলা হয়, ইনকিলাব জিন্দাবাদ। কিন্তু পরিবর্তন করতে যেয়ে আমাদের দেশের কিছু ইসলামপন্থীরাও পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। যেমন, অনেকেই এখন মুর্তি পাহারার দায়িত্ব নিয়েছেন। অথচ আমাদের জাতির পিতা ইবরাহিম (আ) এর আদর্শ কি ছিলো? ইবরাহীম (আ) এর সন্তান যারা, তারা অবশ্যই হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের মানবিক সহায়তা দিবে, জান- মালের নিরাপত্তা দিবে, কিন্তু মুর্তি পাহারা দেয়া কোনো মুসলমানের কাজ নয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুর দরবার শরীফে ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা) স্মরণে বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলনে এসব কথা বলেন, তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ এর আমীর, সাইয়্যেদ ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী জৌনপুরী।
আল্লাহর রাসূল (সা) এর সুমহান মর্যাদার উপর দীর্ঘক্ষণ আলোচনা পেশ করেন। সহীহ সুন্নাহ পালনের উপর গুরুত্বারোপ করে ড. আব্বাসী হুজুর বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা) এর পরিপূর্ণ অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে মানবজাতির কল্যাণ ও মুক্তির সকল পথ।
গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ সহ সকল মানব রচিত মতবাদকে বাদ দিয়ে ইসলামী ইমারাহ কায়েমের লক্ষ্যে, খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল হকপন্থী আলেম উলামাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
অবশেষে দরুদ সালামের পর, দেশ ও জাতির কল্যাণে ও ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে ইসলামী মহাসম্মেলন সমাপ্তি করা হয়।
ইসলামী মহাসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাইয়্যেদ এহসানুল্লাহ আব্বাসী, সাইয়্যেদ ওবায়েদুল্লাহ আব্বাসী, মুফতি মানজুর হোসাইন খন্দকারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখ গন।