সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) একই এলাকার মৃত শরাফত আলীর ছেলে আলম (৩৫), আবু (৩০), মৃতঃ কদম আলীর ছেলে আনার হোসেন (৬০) ও আনার হোসেন এর ছেলে ইকবাল (২৫) এর সাথে একই এলাকার মৃত জমির আলীর ছেলে শাফি (৫৫), শাফির ছেলে হিরণ (২৫), সিদ্দিকের ছেলে শফিকুল (২২), সাইফুল (২০) ও জামাতা আল আমিন এর সাথে গ্যাস লাইন মেরামত কে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
এ বাকবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে শাফি বাহিনী সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে করে আলম ও আবুল হোসেন এর পরিবারের পুরুষরা পুলিশ আতংকে এলাকা ছাড়া হয়। সেই সুযোগে এই রড চুরি হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
রড চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল হোসেন জানান, তুচ্চ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাফি বাহিনী আমাদের উপর আক্রমণ করেন। আবার মিথ্যা হামলার ঘটনা সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ করে। প্রবাস থেকে দেশে এসে মামলার আসামী হয়ে বাড়ি ছাড়তে হয় আমাকে। আমাদের বাড়িতে নির্জনতার সুযোগ পেয়ে শাফি বাহিনী আমার নির্মাণাধীন বাড়ির কাজের জন্য ক্রয়কৃত এক লক্ষ সাত হাজার টাকা মূল্যমানের ১১শ কেজি রড রাতের আধারে নিয়ে যায়। শাফি ও তার দলবল আমাকে ও আমার পরিবার কে হেনস্তা ও শায়েস্তা করার হুমকি দেয়।
রড চুরির ঘটনা সকালে জানাজানি হলে প্রতিবেশী ও গ্রামের শালিস মাতব্বররা ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেলে শাফি বাহিনীর লোকেরা উপস্থিত ব্যাক্তিদের মোবাইলে ভিডিও করে রাখে ও এলাকাবাসীকে পরে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। রড চুরির ঘটনায় স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, রড চুরির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত হিরণের স্ত্রী মোবাইলে ভিডিও ধারন করে রাখে। এতে পরবর্তীতে আমাদের সাথে ঝামেলা করতে পারে বলে আতঙ্কিত আছি বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিদ্দিক ও তার ছেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ক্যামেরার সামনে বা গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) মো.মহসিন বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। চুরি প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।