শনিবার (৭ই সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় নগরীর প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান।
এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করে চলেছেন। আজকে আমরা এখানে যে বিক্ষোভ সমাবেশ করছি, এই সমাবেশ আমাদেরকে করতে বাধ্য করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটিকে দূর্বল করার জন্য, প্রতিহত করার জন্য গোপন নেই সেটা প্রকাশ্যে এসেছে।
গত ১৬ বছরের ইতিহাস নারায়ণগঞ্জের মানুষ জানে। আতাউর রহমান মুকুল ও কাউছাররা বলেছে দল যার যার সেলিম ওসমান সবার। এই মুকুল একসময় জাতীয় পার্টি করেছে এবং সেলিম ওসমানের কাঁধে ভর করে বন্দর উপজেলা নির্বাচন করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলের মহাসচিব যখন বন্দর আসেন তখন মুকুল, হান্নানরা সিরাউদ্দোলা মাঠে আগুন লাগিয়েছিলো। পরে সেই সমাবেশ সোনাকান্দায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
তিনি আরও বলেন, দিপু মনি যখন আওয়ামী লীগের মিটিং করতে জিমখানা এসেছিলেন তখন কাউছার মিছিল নিয়ে সেখানে যোগদান করে দিপু মনির পায়ে ধরে সালামও করেছে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হয়েছেন। অথচ সেসময় নির্বাচন করার কারনে তৈমুর আলম খন্দকারকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। এই পরিবারটি বিএনপির কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছে। তারা ৯ থেকে ১১ সাল পর্যন্ত বিএনপি করেছে, এরপর দলীয় আর কোন সমাবেশে তাদেরকে পাওয়া যায় নি। কিন্তু ২০২২ সালে যখন আমার ও টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয় তখনও তারা সেটা মেনে নিতে পারেনি। ওনারা ষড়যন্ত্র করে ১৫ জন পদত্যাগ করছিলো এবং বিষোদগার করে বিএনপিকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিলো। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আকরাম সাহেবের এজেন্টদের এই আশারা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছিলো।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছর মুকুল ও আশারা বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে। আজকে পূণরায় বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারা একজন পরিক্ষিত নেতাকে যেভাবে কাপুরুষোচিত ভাবে বন্দর যাওয়ার পথে গোপনে ওৎপেতে থেকে হত্যার জন্য হামলা করেছিলো যদি ঘাড়ের সেই কোপটি আর এক ইঞ্চি পরিমান বেশী হত তাহলে আজকে এখানে শোকসভা করতে হত। এই সভা থেকে বলতে চাই, আমরা কোন অন্যায় বরদাশত করবোনা। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশের কারনে আমরা ধৈর্য্য ধারন করেছি। নইলে আজকে অনেকের বাড়ি ঘরে ইটা থাকতোনা। আমরা চাই না নারায়ণগঞ্জর কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হোক । যারা এই হামলার জন্য দায়ী সেই মুকুল, আশাকে গ্রেফতার করা হোক। আপনারা মিছিল করে প্রমান করেছেন গতকালের হামলার জন্য আপনারাই দায়ী।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রুগ্ন আহবায়ক ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরকার হুমায়ুন কবীর, জেলা বিএনপির নেতা মাশিকুল ইসলাম রাজিব, মোঃ মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মজিবুর রহমান সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড, মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর উপজেলার সভাপতি মাজহারুল হোসেন হিরন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারানুর রশিদ লিটন, থানা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলার শাহেন শাহ।
নারায়নগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাকিন মোস্তাকিন শিপলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, শ্রমিক দলের আহবায়ক এস এম আসলাম সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।