বুধবার ( ২৭শে আগস্ট ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিহত আনোয়ার হোসেন আনুর মৃতদেহের ময়না তদন্ত শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কে স্মারক লিপি প্রদান করেন স্বজনরা।
ঐ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে ,এরা হলেন নিহত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে জান্নাত আরা জাহান প্রেরনা (২১) ও ছেলে সারিদ হোসেন (১৯), বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়ার ছেলে ও সাবেক স্ত্রী ভাই – বোন নুর আলম (৪৫), কাজল (৩২) ও রোকসানা আক্তার পুতুল (৪৬) ও কাজের মেয়েকে কে ।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, আনোয়ার নিহতের ঘটনার যারা জড়িত তাদের কে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান। নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন হত্যা ঘটনায় জেলা সিভিল সার্জন ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রির্পোট ঘুড়িয়েছে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলে আমরা কাউকে ছাড় দিবোনা।
এবিষয়ে নিহতের ভাগীনা গোফরান হৃদয় বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের আশ্বস্ত করেন নিহতের ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত করা হবে প্রয়োজনে ডিবিতে মামলা হস্তান্তর করা হবে। এটা কোন রাজনৈতীক মামলা না তাই কাউকে ছারদেওয়া হবেনা।
এজহারে অভিযুক্তরা হলেন ফতুল্লা বিসিক মার্টিন গার্মেন্টেস গলি গোল মোহাম্মদের ছেলে রাসেল মাহমুদ (৪২). নিহতের সাবেক স্ত্রী ও বর্তমান রাসেল মাহমুদের স্ত্রী পাপিয়া আক্তার পান্না (৪২), মাসদাইর শহিদ সাব্বির আলম খন্দকার সড়কে (হেলেনা কটেজ এর ৯ম তলার ভাড়াটিয়া) নিহতের মেয়ে জান্নাত আরা জাহান প্রেরনা (২১) ও ছেলে সারিদ হোসেন, বাবুরাইল এলাকার করিম মিয়া ছেলে নুর আলম (৪৫), কাজল (৩২) ও মেয়ে রোকসানা আক্তার পুতুল (৪৬), বিসিক মার্টিন গার্মেন্টেস এর গলির মৃত: আজগর সরদার ছেলে গোল মোহাম্মদ (৬৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে নিহতের ভাই হাজী আবুল কাশেম বাদশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরকরেন।