মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পন্ড করে দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০শে জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ৩ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
‘দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজ বন্দীদের মুক্তির ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের’ দাবিতে এক কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করা হয়। মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদ্য কারামুক্ত সদস্য সচিব এ্যড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে এ মিছিল শুরু হয়। সে সময় পুলিশ তাদের মিছিল করতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের কালো পতাকা ও ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সাথে ধস্তা-ধোস্তি হয়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থান ত্যাগ করে বালুর মাঠ এলাকায় গিয়ে মিছিল বের করে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ডেইলি নারায়ণগঞ্জ কে বলেন, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি থামাতে, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজ-বন্দীদের মুক্তির ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ৭ তারিখের নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এক কালো পতাকা মিছিলের আয়োজন করা হয়। এটি একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল। কিন্তু আমাদের দাবি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার সহ্য করতে না পেরে পুলিশ দিয়ে আমাদের বাধা দেয়। পুলিশের কর্মকর্তারা এসে আমাদের মিছিলের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়।দেশে অবস্থা এমন হয়েছে যে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে যারা যাচ্ছে তাদের পর্যায়ক্রমে অধিকার হরণ করে নেওয়া হচ্ছে। আমরা এর তীব্র জানাই। আমরা অবিলম্বে বেগম খালেদাসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি চাই, দ্রব্যমূলে যাতে ক্রয়সীমার মধ্যে আসে এবং ৭ তারিখের নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন করার দাবি জানাই।
সদ্য কারামুক্ত মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু ডেইলি নারায়ণগঞ্জ কে বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিয়ে দুপুর সোয়া ৩টার দিকে মিছিল করার চেষ্টা করি। এ সময় সদর থানার ওসি তদন্ত সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের মিছিল করতে বাধা দেয়। সেই সাথে আমাদের মিছিলের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়।