নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপিকে আমি রাজনৈতিক দল ভাবতাম না। ২০১৪ সালে তারা স্কুল পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। সে সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হলে আজ এ দিন দেখতে হত না।
বৃহড্পতিবার (২১শে ডিসেম্বর)দুপুর থেকে থেকে রাতঅবদী কাশীপুর ১, ২, ৩, ৪, নং- ওর্য়াডে বিভিন্ন এলাকায় গনসংযোগ কালে এলাকায় উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি মানসিকভাবে সুস্থ নেই। ট্রেনে একটা বাচ্চার ব্যাগ পড়ে আছে। সে তার মাকে জড়িয়ে মারা গেল। এরা রাজনৈতিক দল! এগুলো দেখে আমি সুস্থ হতে পারিনি এখনও। আমারও একটা নাতি আছে। আমি মানুষকে বলতে চাই জেগে উঠুন এই নরপশুদের বিরুদ্ধে।
সাংসদ আরও বলেন, আমার এলাকায় গতকাল ধ্বংসাত্মক কাজ চালানো হল। ফতুল্লায় ১৩/১৪ পয়েন্টে মশাল মিছিল করল। তারা সবাই সন্ত্রাসী। ওদের ঠেকাতে পাঁচ মিনিটও লাগবে না যদি জনগণ নির্দেশ দেয়। কিন্তু এগুলো কাদের ইন্ধনে করছে ওরা, এটা আমি প্রশ্ন রাখতে চাই। নারায়ণগঞ্জে আমি নির্বাচিত হয়ে প্রতি ওয়ার্ড থেকে সকল শ্রেণী পেশার এক হাজার লোক নিয়ে কাজ শুরু করবো। শুধু আওয়ামী লীগ না, সকল শ্রেনী পেশা ও দল মতের লোক নিয়ে কাজ করবো। আমার এখন মূল টার্গেট মাদক সন্ত্রাস নির্মূল করা। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তারা এখনও বাংলাদেশে রাজনীতি করে। আমি মনে করি স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদরা আজ লজ্জিত, আমিও লজ্জিত।
শামীম ওসমান আরো বলেন, আপনি যদি মনে করেন ভবিষ্যত প্রজন্মকে ফল খাওয়াবেন তাহলে ফল গাছ লাগানো উচিত। আমাকে সার দিবেন পরিচর্যা করবেন। আর আমি যদি কাটা গাছ হই তাহলে সেটাকে কেটে ফেলে দেয়া উচিত। আমি মানুষকে বলতে চাই জাগো।
এসময় উপস্হিত ছিলেন কাশীপুর ইউনিয়ন এর ৩নং- ওর্য়াডের সমাজ সেবক মোঃ সিরাজুল ইসলাম মাদবরের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠক গুলোতে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক রেহান শরিফ বিন্দু, সার্বিক ব্যবস্থা পনায় ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জুয়েল হোসেন, সহ প্রমূখ।