রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাবেক মেয়র সেলিনা হায়ৎ আইভীর ৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন কাশীপুরের ৬টি ওয়ার্ডে শাহ আলমের নির্বাচনি গণসংযোগ: জলাবদ্ধতা নিরসনের অঙ্গীকার বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফতুল্লা থানা বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি জনগণের সাথে সরাসরি সংযোগ: মাসুদুজ্জামান মাসুদের পক্ষে ধানের শীষের প্রচারণা অসুস্থ আলমগীর হোসেন চঞ্চলকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন এড. টিপু নগরীর আমলাপাড়ায় মাসুদুজ্জামানের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার ১ম ব্যাচ ‘সবক প্রদান’ অনুষ্ঠিত শীতলক্ষ্যায় ট্রলার থেকে পড়ে যাওয়া নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার শহীদনগর ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসে স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ কাঁপালেন পিতা – পুত্র 

দৃষ্টিহীন আলভীর পাশে মানবতার হাত বাড়ালেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৫৪ 🪪

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেওভোগ এলাকার গার্মেন্টস শ্রমিক আজিজুল হক ও গৃহিণী রাশেদা বেগমের কিশোরী মেয়ে হাকিমা আক্তার আলভি দীর্ঘদিন ধরে প্রায় দৃষ্টিশক্তিহীন অবস্থায় ভুগছে। পাঁচজনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আজিজুল হক গার্মেন্টসে কাজ করে অল্প বেতনে সংসার চালাতে হিমশিম খান। তবুও ধার-দেনা ও আত্মীয়স্বজনের সাহায্যে মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে, কিন্তু কোনো উন্নতি হয়নি।

চিকিৎসকরা দ্রুত ভারতের শংকর নেত্রালয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। ভারতের ভিসাও সংগ্রহ করেছেন পরিবারটি, কিন্তু বিদেশে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারেননি তাঁরা। দৃষ্টিহীন মেয়েকে নিয়ে একের পর এক দ্বারে ঘুরেও ব্যর্থ হন রাশেদা বেগম।

অবশেষে হতাশ হয়ে সোমবার দেখা করেন সারাদেশে ‘মানবিক ডিসি’ হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে। জেলার এই অভিভাবক মনোযোগ দিয়ে শোনেন অসহায় মায়ের কষ্টের গল্প। তিনি রাশেদাকে সান্ত্বনা দেন, হতাশ না হতে পরামর্শ দেন এবং আলভীর চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

রাশেদা বেগম বলেন, “আমি মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেকের কাছে গিয়েছি, কেউ পাশে দাঁড়াননি। কিন্তু ডিসি স্যার আমার কথা শোনামাত্রই অনুদানের চেক দিলেন। পরিমাণে ছোট হলেও এই সহায়তা আমাদের জন্য অনেক সাহসের।”

তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জের স্বচ্ছল মানুষরা যদি মাত্র ১০০ টাকা করে দেন, তবে আমার মেয়ের চিকিৎসার সব খরচ উঠে যাবে। আমার মেয়ের স্বপ্ন—চোখ ফিরে পেয়ে পড়ালেখা করে একদিন ডাক্তার হবে।”

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, “সীমিত বাজেটের কারণে একজনকে খুব বেশি সহায়তা করা সম্ভব নয়। তবে প্রায়ই এমন অসহায় মানুষ আমার কাছে আসেন। জেলার অভিভাবক হিসেবে আমি চেষ্টা করি, অল্প হলেও সবার পাশে দাঁড়াতে।”

আলভীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved Daily Narayanganj
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102