মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিতাস ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ নিয়াজ শিশিরের নেতৃত্বে একযোগে তিনটি স্পটে চলে এ অভিযান।
অভিযানের শুরুতে পশ্চিম দেওভোগের সামাদ সড়কে গোপন খবরের ভিত্তিতে আয়মান হোসিয়ারি এন্ড কালার নামে একটি ডাইং ফ্যাক্টরিতে অবৈধ আবাসিক গ্যাস লাইন ব্যবহার করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানোর প্রমাণ মেলে। কোনো ধরণের নোটিশ ছাড়াই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আদায় করা হয় ২ লাখ টাকা জরিমানা। একই এলাকায় একাধিক অবৈধ আবাসিক সংযোগও কেটে ফেলা হয়।
এরপর অভিযান হয় মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকায়। প্রথমেই নজরে পড়ে ‘মায়ের দোয়া রেস্টুরেন্ট’। একটি আবাসিক লাইনের গ্যাস দিয়ে একশত ৫০ ঘনফুট/ঘণ্টা বার্নার চালিয়ে হোটেল ব্যবসা চালাচ্ছিল তারা। ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিক সংযোগটি কেটে দিয়ে রেস্টুরেন্ট মালিকের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
কাছেই ‘বিসমিল্লাহ খাবার হোটেল’ থেকে আরও বড় চিত্র বেরিয়ে আসে—একশত সাতাশি ঘনফুট/ঘণ্টা বার্নার জ্বালিয়ে একইভাবে আবাসিক লাইন থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস ব্যবহারের প্রমাণ মেলে। সেখানেও সংযোগ কেটে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান শেষে ফতুল্লা প্রকৌশলী মশিউর রহমান স্পষ্টভাবে জানান, “গ্যাস চুরির বিরুদ্ধে এই অভিযান চলমান থাকবে। অবৈধ সংযোগ যেখানেই হোক, কেউ রেহাই পাবে না।”
তিতাসের এ পদক্ষেপে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা—এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকলে অবৈধ গ্যাস চুরি রোধে কিছুটা হলেও শৃঙ্খলা ফিরবে।