আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৫ (বন্দর ও সদর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় শীর্ষে উঠে এসেছেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। তাঁর স্বচ্ছ রাজনৈতিক পরিচিতি ও রাজপথের লড়াকু মানসিকতা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছে। রাজীবকে এই আসনের এমপি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূল, এমন দাবি এখন সর্বত্র।
নেতাকর্মীদের মতে, মাসুকুল ইসলাম রাজীব একজন “ক্লিন ইমেজ” সম্পন্ন নেতা। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি বা দখলবাজির মতো কোনো অভিযোগের দাগ লাগেনি। এই নির্লোভ ও নিরহংকার ভাবমূর্তি তাঁকে তরুণ প্রজন্মের কাছে এক আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বিএনপি’র কেন্দ্রঘোষিত প্রতিটি কর্মসূচিতে রাজীবের সক্রিয় ও সাহসী নেতৃত্ব বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে ডাকা অবরোধ ও হরতালের দিনগুলোতে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে প্রথম সারিতে থেকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২৩ সালে এক আন্দোলন কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন এবং পরবর্তীতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। গত ৩ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে তিনি শীর্ষ আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড ভোগ করেন, যা দলের প্রতি তাঁর সর্বোচ্চ ত্যাগ ও দায়বদ্ধতার প্রমাণ হিসেবে দেখছেন কর্মীরা।
তাঁর সংগ্রামের চিত্র এখানেই শেষ নয়। সাম্প্রতিক মার্চ ২০২৪-এ হরতাল কর্মসূচিতে প্রশাসনের কঠোর দমননীতির মধ্যেও মাঠে সক্রিয় থাকায় তিনিসহ পাঁচজন নেতা আগাম জামিন পান। তৃণমূলের এক কর্মী বলেন, “যে নেতা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের আদর্শতে রাজপথে থাকেন, তিনিই তো আমাদের সত্যিকারের প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্য।”
শুধু রাজপথের সংগ্রামেই নয়, মাসুকুল ইসলাম রাজীবের সাংগঠনিক দক্ষতাও প্রশংসার দাবিদার। সম্প্রতি মিশনপাড়ায় অনুষ্ঠিত বিশাল এক জনসভায় তাঁর সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তিনি নিজের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছেন, যা তাঁর নেতৃত্বকে আরও প্রভাবশালী করেছে।
সব মিলিয়ে, মাসুকুল ইসলাম রাজীবের “জীবন্ত নেতৃত্ব ও আপোষহীন সংগ্রাম” তাঁকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে উপস্থাপন করেছে। কর্মীরা বিশ্বাস করেন, তাঁর “ন্যূনতম অভিযোগহীন ও সংগ্রামী ন্যায়পরায়ণ” ভাবমূর্তিকেই কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড মূল্যায়ন করবে এবং তাঁকেই এই আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।