বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে জুয়েল রানা নামে এক যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদেরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান বাবু। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার এনায়েতনগর ইউনিয়নের নাসিরউদ্দিনের ছেলে ও যুবলীগ কর্মী জুয়েল রানার একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। উক্ত ভিডিওতে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার কন্যা জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
ভিডিওতে জুয়েল রানা নিজেকে তৎকালীন সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দাবি করেন এবং তার এলাকায় কেউ বিএনপি করলে তাকে সরাসরি গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও জুয়েল রানা এলাকায় অবস্থান করছিলেন এবং নিজেকে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খানের ফুফাতো ভাই পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিলেন। তবে, তার আপত্তিকর মন্তব্যের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
মামলা পরিচালনায় ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবীর।
মামলা দায়েরের সময় বাদী নাজমুল হাসান বাবুর সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম আপেল, রফিকুল ইসলাম রকি, উজ্জ্বল আহমেদ, নাছির মাদবর, শাকিল মোল্লা, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লেলিন আহমেদ, ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মো. ফয়সাল ইসলাম, কদম রসুল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী সোহেল, তানভীর, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা শাহাদাত, জুয়েল, রিদয়, মিদুল, পারভেজ, ফতুল্লা ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা জিহাদ, আবু রায়হান, শান্ত এবং এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মাসুম বিল্লাহ ও লিয়ন মোহাম্মদ আকাশ প্রমুখ।