স্মারকলিপি প্রদান শেষে মনির হোসেন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, “জেলা প্রশাসক মহোদয় ‘গ্রীন প্রজেক্ট’ নামে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সেই প্রকল্পের আওতায় আমরা ঐতিহাসিক হাজিগঞ্জ দুর্গের উন্নয়ন, এর নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আমাদের প্রস্তাবনাসমূহ স্মারকলিপির মাধ্যমে তুলে ধরেছি। দুর্গটিকে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় ও সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করা যায়, সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।”
তিনি আরও যুক্ত করেন, “হাজিগঞ্জ এলাকায় বিপুল সংখ্যক গার্মেন্টসকর্মী বসবাস করেন। রাতের বেলায় দূরপাল্লার বিভিন্ন নাইট কোচের মাধ্যমে এই অঞ্চলে মাদকদ্রব্য প্রবেশের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। তাই, এলাকাবাসী, বিশেষ করে নারী গার্মেন্টসকর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হাজিগঞ্জ পুলিশ বক্সে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি টহল নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে আমাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।”
অন্যদিকে, শহরের খেলার মাঠগুলো রক্ষার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। শাপলা ক্লাবের প্রতিনিধি ইছলে উদ্দিন ঈছা বলেন, “সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি, একটি কুচক্রী মহল শহরের বিভিন্ন খেলার মাঠ দখল করে গরুর হাট বসানোর পায়তারা করছে। এই মাঠগুলো আমাদের শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শাপলা ক্লাবের পক্ষ থেকে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে মাঠগুলো রক্ষার জন্য একটি পৃথক স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। তিনি আমাদের অনুরোধ রক্ষা করায় আজ আমরা তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছি।”
স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার মুজাহিদ মুকুলসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, জেলা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে হাজিগঞ্জ দুর্গ তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে এবং এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।