এদিন সকালে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী ভবন মসজিদ ও সিভিল সার্জন মসজিদে শহীদ জিয়ার রুহের মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, “শহীদ জিয়ার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর দেখানো আদর্শই আমাদের চলার পথের পাথেয়।”
দোয়া ও মোনাজাত শেষে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত ও দিনমজুরদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এক মানবিক ও ব্যতিক্রমী দৃশ্যে, নেতা টিপু সাধারণ মানুষের কাতারে বসে তাদের সঙ্গে খাবার গ্রহণ করেন, যা উপস্থিত সকলের মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে। স্থানীয় বাসিন্দা হাবিব খন্দকার মন্তব্য করেন, “নেতৃবৃন্দ যখন এভাবে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনুধাবন করেন, তখনই সমাজে প্রকৃত পরিবর্তন আসে।”
খাবার বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিপু বলেন, “শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিল একটি দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ। আজ তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।” বিশ্লেষকদের মতে, এই আয়োজন নিছক রাজনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা অতিক্রম করে “মানবিক মেলবন্ধনের এক অনন্য নজির” স্থাপন করেছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি জানিয়েছে, শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত এই সামাজিক ও মানবিক উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। শহীদ জিয়াউর রহমানের জনগণের প্রতি যে অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল, সেই আদর্শকে ধারণ করেই দলের भावी কর্মসূচিগুলো পরিচালিত হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
বস্তুত, নারায়ণগঞ্জের এই আয়োজন শুধু একটি শাহাদতবার্ষিকী পালন নয়, বরং এটি ছিল রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন, যেখানে নেতা ও সাধারণ মানুষের আন্তরিক সম্মিলনই হয়ে উঠেছিল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।