শুক্রবার (২৩ মে ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন, সংবিধানে ‘বহুত্ববাদ’ শব্দ অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব এবং ‘মানবিক করিডোর’-এর নামে দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ক্ষুণ্ণ করার कथित অপচেষ্টার প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেই স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করার কোনো পাঁয়তারা যদি কোনো মহল থেকে করা হয়, তাহলে সর্বপ্রথম এই মাতৃভূমি রক্ষা করার জন্য হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ভারত বা আমেরিকার এজেন্ডা কে বাস্তবায়ন করবেন তা আমাদের জানা নাই, জানতেও চাই না। একমাত্র ইসলামি সংগঠনগুলোই রাজপথে থেকে দেশের জন্য ভূমিকা পালন করছে।”
ভবিষ্যতে দেশ রক্ষার প্রয়োজনে যেকোনো যুদ্ধের জন্য হেফাজত কর্মীরা সম্মুখ সারিতে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগামী দিনে দেশ রক্ষার জন্য যদি কোনো যুদ্ধের ঘোষণা আসে তাহলে রাজপথের সামনে থেকে যুদ্ধ করবে হেফাজতের কর্মীরা। আমরা দেশ রক্ষার আন্দোলনে কারও সঙ্গে আপোষ করতে চাই না, দেশের জন্য রক্ত দিতে চাই, দেশের জন্য জীবন দিতে চাই।”
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উদ্দেশে মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, “আপনারা টেবিলে এসির তলে বসে বসে গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন বাস্তবায়নের জন্য স্বপ্ন দেখছেন। কিছু গাছ রোপন করলেই নারায়ণগঞ্জ গ্রিন হয়ে যায় না।” তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নারায়ণগঞ্জে উন্নয়ন হচ্ছে না এবং সড়কগুলো অপরিষ্কার থাকছে। এ বিষয়ে মসজিদের ইমামদের সাথে পরামর্শ করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার এবং নারী সংস্কার কমিশন দ্রুত বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “আর না হয় দাবি কীভাবে আদায় করতে হয়, তা হেফাজতে ইসলামের জানা আছে।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি হারুনুর রশিদ, মাওলানা মীর আহমাদুল্লাহ, মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমি, মাওলানা তাজুল ইসলাম আব্বাস, মাওলানা সাইফুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।