আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোঃ শফিউল বারী। তিনি তাঁর বক্তব্যে নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কমডোর শফিউল বারী বলেন, “আমার নাবিক জীবনের ৩৪ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, নৌপথের নিরাপত্তার জন্য তিনটি প্রধান বিষয় অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত – মানুষ, নৌ-যান এবং পানি। এই তিনটি উপাদান নিরাপদ থাকলেই আমাদের নৌযানও নিরাপদ থাকবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “নাবিকদের নিরাপত্তা নির্ভর করে তাদের জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং শৃঙ্খলার ওপর। চালক, মাস্টার কিংবা পাইলট, যিনিই নৌ-যান পরিচালনা করুন না কেন, এই গুণাবলীগুলোই তাঁদের এবং নৌযানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও জাহাজ নিরীক্ষক মনজুরুল কবীর। তানজিলা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল, বাংলাদেশ নৌপরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজির আহমেদ, বাংলাদেশী নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া এবং শ্রমিক নেতা মোঃ মাহমুদ হোসেনসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আলোচনা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উদযাপনের এই উদ্যোগ নৌপথে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দুর্ঘটনা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।