সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম-সদস্য সচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক এড, আব্দুল্লাহ আল-আমিন। তিনি বলেন, দুই হাজার ছাত্র-জনতার জীবন এবং ত্রিশ-পয়ত্রিশ হাজার আহতের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম এই বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টদের বিচার হবে, আর কখনও ফ্যাসিস্টের আস্ফালন দেখতে হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি, জুলাই বিপ্লবের আট মাস পার হলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিচারের কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। বরং নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে যারা ওসমান পরিবারের হয়ে ব্যবসায়িক রাজনীতি করতেন, তারা এখন বিপ্লবের পরে নিজেদের বড় বিপ্লবী দাবি করছেন। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তারা আবারও ওসমান পরিবার ও তাদের দোসরদের প্রতিষ্ঠিত করছেন। আমরা এমন নারায়ণগঞ্জ দেখতে চাই না।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী, যুগ্ম-মুখ্য সমন্বয়ক তুহিন মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক নিরব রায়হান এবং সদস্য সচিব জাবেদ আলম।