রোববার (১৩ এপ্রিল) সাড়ে দশটার দিকে জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন জাকির খান।
তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল ৮টা থেকে কারাফটকের সামনে ফুলের মালা ও গাড়িবহর নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন হাজার হাজার অনুসারী ও কর্মী-সমর্থকরা। কারামুক্ত হয়ে জাকির খান তাদের নিয়ে নগরীতে শোডাউন করেন। এসময় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়কসহ আশেপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কটির ঢাকামুখী লেনের উপর গাড়িবহর নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির কারণে অন্তত প্রায় দেড়ঘন্টা যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। প্রায় ২ ঘন্টার পর এ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দীর্ঘ বছর পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর এক অভিযানে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জাকির খান।
তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক আইনে ৩৩টি মামলা ছিল। গত বছরের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন ও খালাস পান জাকির খান।
সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ২২ বছর পর নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার রায়ে জাকির খান সহ সকল আসামিকে খালাস দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম।
মামলায় খালাস পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন- জাকির খানের দুই ছোট ভাই জিকু খান ও মামুন খান, তার সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আব্দুল আজিজ।
রোববার সকালে কারাফটকের সামনে এ্যাড, রাজীব মন্ডল জানান, জাকির খানের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। সবগুলোতেই তিনি খালাস কিংবা জামিনে আছেন।