উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ২০০৮ সালে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (স্যাকমো) হিসেবে যোগদান করেন জাহাঙ্গীর আলম (রাসেল) ও তার স্ত্রী খাদিজাতুল কুবরা।নিয়োগের পর থেকেই বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত হয়ে পরে এই জাহাঙ্গীর।
স্থানীয় নেতাদের সাথে আতাত করে হাসপাতালের বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর সাথে চুক্তি করে হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কৌশলে দালালদের মাধ্যমে বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে পাঠাতেন জাহাঙ্গীর।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০/৩৫ হাজার টাকা বেতন পেয়ে কোটি টাকার গাড়িতে চলাফেরা করে জাহাঙ্গীর।
অনুমোদন না থাকা সত্বেও নিজের গাড়ির পিছনে ডাক্তার স্টিকার লাগিয়ে রেখেছেন তিনি। জরুরি বিভাগের ডিউটির সময় তার লালিত পালিত দালাল চক্র তাকে বেষ্টনী দিয়ে রাখে এবং যুবতী মহিলা রোগীদেরকে স্যাকমোদের বিশ্রামাগার কক্ষে নিয়ে প্রাইভেট ভাবে রোগী দেখাসহ অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে ।
নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৮ সালে জাহাঙ্গীরকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হলে ৬ মাস না যেতেই তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতাদের দিয়ে সুপারিশ করে আবার সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসে।
জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রী খাদিজাতুল কোবরা ও একজন স্যাকমো। সে দীর্ঘ ০৫ (পাঁচ) বছর যাবৎ জরুরি বিভাগের ডিউটি করেনা । টাকার বিনিময়ে ইনজুরি সার্টিফিকেট বানিজ্য করে আলীশান জীবন যাপন করে।
২০১৬ সালে ছনিয়া নামে সোনারগাঁয়ের স্থানীয় এক মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়ায় জাহাঙ্গীর।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছনিয়ার সাথে একাধিকবার রাত্রি যাপন করে জাহাঙ্গীর।২০১৮ সালে বাংলাদেশের আইনকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে কাবিননামা না করে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক ছনিয়াকে বিয়ে করে জাহাঙ্গীর।
ছনিয়া বলেন, বিয়ে করার পর থেকে জাহাঙ্গীর শুধু আমাকে ভোগ করেছে এর বাহিরে আমাকে স্বামীর অধিকার সে দেয়নি।বিয়ের দুইবছর পর আমি জানতে পেরেছি জাহাঙ্গীর বিবাহিত তার স্ত্রী, সন্তান রয়েছে।যখনই আমি তার কাছে স্ত্রীর অধিকার চেয়ে তার বাসায় যেতে চেয়েছি তখনই সে আমাকে মারধর করতো।প্রায় ৫ বছর যাবত সে আমার সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি।
আমি তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে সে আমাকে হুমকি দেয়।
তাই আমি বাধ্য হয়ে নারী ও শিশু অধিকার আইনে তার বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা করেছি মামলাটি পিবিআইয়ে তদন্ত চলছে।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাকর্মকর্তার কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছি।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন আহমেদ তিথি জানান,জাহাঙ্গীর এর বিপক্ষে ছনিয়া আক্তারের অভিযোগ টি আমরা পেয়েছি। অভিযোগ টি আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে একাধিবার ফোন দিলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।