এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, এ ট্রেনের বগিগুলোতে ইন্টার-কানেক্টিভিটি রাখা হয়েছে। যাতে যাত্রীরা একটি বগি থেকে আরেক বগিতে সহজেই যাতায়াত করতে পারেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যাত্রীদের জন্য এটি রেলওয়ে বিভাগের উপহার। নারায়ণগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করার লক্ষে আমরা কাজ করছি।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড, সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, জেলা প্রশাসকের সুযোগ্য নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের রেল ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য যে কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। এখানে ব্যবসা বানিজ্যের জন্য অনেক লোক আসে ফলে যানযটে না থেকে এ যোগাযোগ ব্যাবস্হা আরও ভূমিকা রাখবে।
চাষহাড়া স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শামসু মোহাম্মদ খাঁজা সুজন বলেন, শতাব্দী পুরোনো এ রেলপথে আগে পুরোনো ধাঁচের ট্রেনগুলো চলাচল করতো। যাত্রীদের সুবিধার্থে মেট্রো রেলের আদলে নির্মিত নতুন একটি কমিউটার ট্রেনের যাত্রা শুরু হলো। এ ট্রেনে আগের চেয়ে বেশি বগি সংযোজন করা হয়েছে। মুখোমুখি আসনে বসার পরও নিরাপদে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও এ ট্রেনে রাখা হয়েছে। এছাড়া, সংযুক্ত করা হয়েছে পর্যাপ্ত লাইট ও ফ্যান। আধুনিক সুবিধা সংযোজন করা হলেও ট্রেনযাত্রার ভাড়া আগের মতো ২০ টাকা রয়েছে। আগে এ রুটে চলাচল করা ট্রেনের বগি ছিল আটটি, যা এখন বাড়িয়ে এগারোটি করা হয়েছে। একযাত্রায় মোট ১১৭৬ জন যাত্রী বহনক্ষমতা সম্পন্ন ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময় পরপর দিনে ও রাতে ১৬ বার যাত্রী পরিবহন করবে। পুরোনো আটটি বগি-সম্পন্ন ট্রেনগুলোতে বর্তমানের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা ছিল। এখন একটি ট্রেনে এগারোটি বগি সংযুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, জামায়েতর সাবেক আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড,আবু আল ইউসুফ খান টিপু, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা তরিকুল ইসলাম সুজন, ছাত্র ফেডারেশনের নেত্রী মুনা, রেলওয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।