এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব এ্যাড. আব্দুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, শওকত আলী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নানান ধরনের বাস্তবতা আছে। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাস্তবতার মধ্যে আছি। পুরো জনগোষ্ঠীর একটি ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। এই বাস্তবতা সত্ত্বেও আমরা তরুণরা যে ধরনের রাজনৈতিক ধারা তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বলছি বাংলাদেশে একটি নতুন সংবিধান প্রয়োজন। সেই সংবিধান অর্জনের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচন ছাড়া, আর কোনো সরকার, আর কোনো নির্বাচনে ম্যান্ডেট নাই যে, নতুন সংবিধান তৈরি করে দিতে পারবে। এই সংবিধান একটি প্রশ্নবিদ্ধ সংবিধান, অভিশপ্ত সংবিধান। এই সংবিধানের মধ্যে মানুষের মতামতের জায়গা রাখা হয় নাই। এই সংবিধান একটি দলীয় সংবিধান ছিল। এই সংবিধান একটি একব্যক্তি কেন্দ্রিক সংবিধান, এই পার্লামেন্ট এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক পার্লামেন্ট ছিল।
সামান্তা শারমিন বলেন, এখন যে সচিবালয়, এখন যে মন্ত্রণালয়ে বসে যারা বড় বড় কথা বলছেন, তারা সবাই এক দলীয় এবং এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক সচিবালয় মন্ত্রণালয় চালিয়ে আসছেন। আমাদেরকে সেবা ভিত্তিক রাজনীতির কথা বলতে হবে। যদি আমরা তরুণদেরকে নতুন রাজনীতির ধারার ক্ষেত্রে আগ্রহী করতে চাই তাহলে অবশ্যই শোডাউনের রাজনীতি পরিবর্তন করে দায়িত্বের কথা বলতে হবে। রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তনের যে দায়িত্ব আমরা কাঁধে নিয়েছি সেটা শুধু এনসিপির নয়। সকল রাজনৈতিক দলকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। দেখেছি ঐক্যমত কমিশনে অনেকেই গণপরিষদ নির্বাচনের বিরোধিতা করেছেন। আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই গণপরিষদ নির্বাচন ব্যতীত বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন এই গণঅভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট ধারণ করবে না। গণপরিষদ নির্বাচন কোনো কঠিন বিষয় নয়। বাংলাদেশে যখন আধুনিক কলকবজা ছিল না, তখনই গণপরিষদ নির্বাচন এই ছাত্র, জনতা, শ্রমিক, কৃষকের হাত ধরে এসেছিলো ।