নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জনাব তারেক আল মেহেদী এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ “ক” সার্কেল জনাব মোঃ হাসিনুজ্জামানের নির্দেশনায় ফতুল্লা থানার আভিযানিক টিম অভিযান পরিচালনা করে। বিশ্বস্ত সূত্র এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখ সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায় অপহরণের ঘটনায় জড়িত আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে শাহআলমকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন বেলা ১২টা ১০ মিনিটে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন কাচিজোড়া এলাকা থেকে আরেক আসামি মোঃ তানজিল আহমেদ মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করে যে, তারা মুস্তাকিনের বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শিশুটিকে অপহরণ করে। পরে ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা শিশুটিকে হত্যা করে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কুন্ডা ইউনিয়নের কাওটাইল ০৫নং ওয়ার্ডের বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদ সংলগ্ন জঙ্গলে লাশ গুম করে। ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ দুপুর ১টা ১০ মিনিটে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। লাশের পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাতনামা লাশ হিসেবে একটি মামলা রুজু করা হয়। পরে বাদী ও তার পরিবার লাশ দেখে সনাক্ত করেন।
গত ১৮ মার্চ ফতুল্লা থানাধীন লামাপাড়া (পশ্চিম) দরগাহ বাড়ী মসজিদ সংলগ্ন জনৈক আব্দুল সালামের বাড়ির টিনশেড ঘর থেকে আসামি মোঃ তানজিল আহমেদ মোল্লার রুম থেকে শিশুটিকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি স্টিলের বাটযুক্ত সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।