উক্ত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন। এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ৩১৩ জন সাহাবী নিয়ে ১ হাজার কাফেরের বিরুদ্ধে বদরের যুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেন, সেদিন আল্লাহর রাসূল দোয়া করেছিলেন। সেই দোয়ার বরকতে আল্লাহ দ্বিগুণ করেছিলেন। কোনো কোনো জায়গায় বলা হয়েছে যে, কাফেররা হাজার হাজার সাহাবী দেখেছিলেন।বদরে সাহাবীরা হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব।মুয়াজ ও মুয়াউভিজ এর মতো আপনারও সন্তান আছে। আপনি সন্তানকে দ্বীনের কাজে দিচ্ছেন না কেন? আপনার সন্তানকে ভালো কাজে না দিলে ভবিষ্যতে আপনার অশান্তির সৃষ্টি হতে হবে। আপনার বাচ্চাদের ইসলামী ছাত্র সংগঠনে দিবেন। আল্লাহর নবী বলেন,
তোমরা নিজেদের আগুন থেকে বাচো এবং অন্যদেরকে বাঁচাও।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটা কাজে কর্মে, খাবার দাবারে সন্তান সন্ততিদেরকে একসাথে রাখেন,তাহলে শান্তি আসবে।
আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি সারা পৃথিবীর ফ্যাসিবাদীও কিছু করতে পারবেনা। যেমন ৩১৩ জন সাহাবী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিল। এজন্য আমরা জান এবং মাল দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ত্যাগ, কুরবানী করবো এবং দাওয়াতি কাজ চালিয়ে যাবো। বদর দিবসের অঙ্গিকার হবে আগামী দিনগুলো সঠিকভাবে চালানোর প্রয়াস।
উক্ত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর উত্তর থানা আমীর আবুল কালাম আজাদ। উত্তর থানা সেক্রেটারি আবদুর রহিম’র সঞ্চালনায় আলোচক ছিলেন উত্তর থানা কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল ওহাব।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী উত্তর থানা সহকারী সেক্রেটারি মো.রুহুল আমীন সহ উত্তর থানার কর্ম পরিষদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।