এদিকে সরকারি সোলার লাইট রাস্তা থেকে সরিয়ে নিজের বাড়ির সামনে লাগানো স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম উচ্চস্বরে বলে আমি শামীম মেম্বারকে টাকা দিয়ে লোহার খুটি সহ সোলার লাইট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আমি তো চুরি করে নেই নাই। সরকারি সম্পদ কেনা ও বেচার এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেনি।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, উত্তর নরসিংপুর হতে জম্মত আলী মসজিদ রোডে সন্ধা হলে অন্ধকারে ভুতের গল্লিতে পরিনত হয়ে পড়ে। এতে করে রাতের আধারে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতো। যার কারনে ভয়ে রাতের বেলা গার্মেন্ট শ্রমিক সহ এলাকার লোকজন ঐ সড়কে যানচলাচল করা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে স্থানীয়দের আবেদনের পেক্ষিতে সরকারি ভাবে ঐ রোডে সোলার লাইট বসানোর ব্যবস্থা করা হয়। তার পর থেকেই সাধারণ মানুষ ও গার্মেন্ট শ্রমিকরা রাতের বেলা চলাচল করে। রাস্তায় সোলার লাইট বসানোর ফলে ছিনতাইয়ের ঘটনাও কমে যায়। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে রাস্তায় সোলার লাইট না দেখে স্থানীয় লোকজন হতভম্ব হয়ে পড়ে। পরে খোজ খবর নিয়ে দেখে রাস্তা থেকে সরিয়ে স্থানীয় তাতীলীগ নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম ৫/৬শ গজ দুর তার বাড়ির গেইটের সামনে সোলার লাইটটি লাগিয়ে রাখে। ওয়াহিদুল ইসলাম দাবি করে স্থানীয় মেম্বার শামীম আহম্মেদকে টাকা দিয়ে সোলার লাইট রাস্তা থেকে সরিয়ে তার বাড়ির সামনে লাগানো হয়েছে।
এদিকে ওয়াহিদুল ইসলাম শামীম মেম্বারের কাছ থেকে টাকা দিয়ে সোলার লাইট কিনে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে তার বাড়ির সামনে লাগানো হয়েছে এমন বক্তব্য ভাইরাল হয়।
কাশিপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার শামীম আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে চাইলে একাধিক বার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি।
এলাকাবাসী জানান, রাস্তায় লাগানো সরকারী সোলার লাইট সরিয়ে তাতী লীগ নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম কোন ক্ষমতার বলে তার বাড়ির সামনে বসানো হয়েছে। সে কত টাকার মালিক হয়ে গেছে সরকারি সম্পদ কিনে নেয়। জনগণের ক্ষতি করে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে সোলার লাইট তার বাড়ির সামনে লাগানো হলো। এতে করে তাতীলীগ নেতা ওয়াহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।