সোমবার ২৭ জানুয়ারী সকাল ১১টায় ইউনাইটেড কস্টিউম লিমিটেড ও আর.এন নিট টেক্স লিমিটেড এর শ্রমিক কর্মচারী বৃন্দ নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন।
গার্মেন্টস দুইটির শ্রমিক প্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বি’র কাছে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করেন।
এ সময় শ্রমিকদের সাথে উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিক জননেতা জাহাঙ্গীর আলম গোলক।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জেসমিন আক্তার, ছাত্র জাগরণ মঞ্চের জেলা সমন্বয়ক রাজিয়া রিয়া ও সহ ছাত্র সমন্বয়ক নুসরাত মারিয়া ইতি, গণ পরিবহন মঞ্চের নেতা সবুজ মিয়া, গার্মেন্টস দুটির শ্রমিক রাকিব, আকবর, সোহেল, সোহাগ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, উল্লিখিত শিল্প প্রতিষ্ঠান দুইটি একই মালিকানাধীন। উক্ত গার্মেন্টস দুটিতে শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ৭০০ এর অধিক। শ্রমিক কর্মচারীরা বহুদিন যাবৎ যোগ্যতা, দক্ষতা, নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছিলো। কিন্তুু এই শিল্প প্রতিষ্টান দুটি শ্রম আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয় না। গত ৩০/১২/২০২৪ ইং তারিখে শ্রম আইন অনুযায়ী পরিচালনা করার জন্য ১২ দফা দাবী কারখানা কর্তৃপক্ষ বরাবর পেশ করে। মালিক কতৃপক্ষ শ্রমিকদেরকে গত ২০/ ০১ /২০২৫ ইং তারিখে এই বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার জন্য সময় দেন। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ এই সুযোগে সময়ের বাহানা দিয়ে ১৮/ ০১/ ২০২৫ ইং তারিখে প্রায় ৫০ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের শ্রমিকদের হামলা করে মারধর করে। এতে আমরা ভয়ে আতংকিত হয়ে পরি। এবং নারী শ্রমিকরা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। অবশেষে আমরা কারখানা থেকে রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হই। এতে রাস্তায় যানজট তৈরী হয়। এই অবস্থায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোনাব্বর সাহেব উপস্থিত হয়ে আমাদের আশ্বাস দেন যে, মালিক কর্তৃপক্ষ শ্রম আইন অনুযায়ী আমাদের সকল দাবী মেনে নিবে। তখন আমরা রাস্তা ছেড়ে চলে আসি এবং পুনরায় কাজে যুক্ত হই। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ এইসব দাবী তাৎক্ষণিক মেনে নিলেও পরবর্তীতে আমাদের ১৭ জনের নামে ২৩ ধারায় মিথ্যা মামলা সহ ২০/২৫ জনের নামে অজ্ঞাতনামা মামলা করেন। এবং সকল প্রকার প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেন।মোট ৪১ জন শ্রমিককে ছাটাই করে দেন। এই অবস্থায় শ্রমিকরা চাকরি হারিয়ে ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে ঘর ছাড়া অসহায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবী বাস্তবায়ন সহ সমস্ত প্রাপ্য পাওনা, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ ১২ দফা দাবী বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।