সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থাশীল : রাজীব আমরা সেই ফ্যাসিস্ট সরকার আর চাই না: মুফতি মনির হোসেন কাসেমী যানজট নিরসনে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসনের অব্যাহত অভিযান ঈদের ১০ দিন পূর্বে সকল শ্রমিকের বেতন বোনাস পরিশোধ করতে হবে- গোলক সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহিণীকে গণধর্ষণ, ২ বছর পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার বিএনপি নেতার শেল্টারে আওয়ামীলীগার জহির মোল্লা বেপরোয়া কিছু এমপি মন্ত্রী পালিয়ে গেলেওতাদের সমস্ত দোসররা ঘাপটি মেরে আছে : মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ না’গঞ্জ আই ই টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর শতবর্ষ উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন না’গঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত মাহাবুবকে জেলা প্রশাসকের আর্থিক সহায়তা মাকসুদ হোসেনের সুস্থতা ও নিঃশর্ত মুক্তি কামনা করে বিভিন্ন মসজিদে দোয়া

আইনি লড়াইয়ে অবশেষে খালাস পেলেন সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি জাকির খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১১১ 🪪
দীর্ঘ  অপেক্ষার পর আইনি লড়াই করে অবশেষে মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন জাকির খান সহ অভিযুক্ত ৮জন।   নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা  ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ জাকির খান কে  বেকসুর খালাস প্রদান করেছে আদালত। একই সাথে এই মামলার সকল অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৭ই জানুয়ারি) সকাল সাড়ে  ১১ টায় এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত মমিনুল ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃকাইউম খান।

এদিকে সকাল ১১টায় আদালতে আনা হয় জাকির খানকে। এসময় হাজারো কর্মী সমর্থক আদালত পাড়ায়  উপস্থিত হলে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা  হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার । এ হত্যাকান্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এবং নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতুল্লা থানায় একটি  মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়।

এ চার্জশিটে মামলার প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার চার্জশিটের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। নারাজি পিটিশনে তৈমূর আলম বলেছিলেন, ‘গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা একটি গোঁজামিলের চার্জশিট দাখিল করেছেন।’এরপর থেকে ৫ বছরের অধিক সময় ধরে নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট) মামলার শুনানি চলে আসছিল। গত ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে তৈমুর আলম খন্দকার আদালতে দাখিলকৃত না রাজি পিটিশনটি আবেদন করে প্রত্যাহার করে নেন। নারাজি পিটিশন প্রত্যাহারের কারণে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এখন আর মামলায় অভিযুক্ত নেই। ফলে সিআইডি ২০০৬ সালের ৮ই জানুয়ারি আদালতে যে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করেই মামলাটি পরিচালিত হচ্ছিলো ।

এরপর আদালতের রায় ঘোষণার পরে জাকির খানের হাজারও অনুসারীরা আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে  নগরীতে মিছিল করে সাবেক বিএনপির কার্যলয়ের সামনে মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত একসভায় বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ করে নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ পারভেজ মল্লিক, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া, ঢাকা দক্ষিণ এর যুব নেতা মোঃ কামাল হোসেন, ছাত্রদলের নেতা মোঃ সিমান্ত, মোঃ ফাহিম আহমেদ,রাকিব হাসান রাজু সহ প্রমূখ।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved Daily Narayanganj
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102